প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বাদীর অভিযোগ ॥ লাখাইয়ে কদ্দুছ হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে আসামীরা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে
তারিখ: ১৩-মার্চ-২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার ॥

লাখাই উপজেলা একটি দাঙ্গা প্রবণ এলাকা। এখানে প্রায়ই হত্যার ঘটনা ঘটে। তবে কোন হত্যা মামলার বিচার হয় না। একটি প্রভাবশালী মহলের চাপে এবং বাদীকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে এমনভাবে হয়রানী করা হয় যাতে সে বাধ্য হয় হত্যা মামলা আপোষ করতে। প্রথমে মামলার আসামীরা নিজেদের বাড়ীতে আগুন দেয় এবং নিজেরা ভাংচুর করে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক গ্রামের মামুন মোল্লা সোমবার বিকেলে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তার গ্রামে ইউপি নির্বাচনের বিরোধকে কেন্দ্র করে তার পিতা কদ্দুছ মোল্লাকে হত্যা করে একই গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি মাসুক মিয়া ও তার লোকজন। এই ঘটনার ৪০দিনও অতিবাহিত হয়নি এরই মাঝে খুনীদেরকে গ্রেফতার না করে মিথ্যা মামলা দিয়ে তার আত্মীয়-স্বজনকে ন্যাক্কারজনকভাবে হয়রানী করা হচ্ছে। দ্রুত বিচারসহ একাধিক মামলা দিয়ে তার আত্মীয়-স্বজন ও হত্যা মামলার স্বাক্ষীদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, লাখাই উপজেলায় একটি প্রভাবশালী মহলের চত্রছায়ায় খুনের মামলার বাদী এবং স্বাক্ষীদেরকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে এমভাবে হয়রানী করা হয় যাহাতে বাদী বাধ্য হয় হত্যা মামলা আপোষ করতে। এতে করে সাময়িকভাবে বিরোধ নিস্পত্তি হলেও মানুষের ভিতরে ক্ষোভ এবং যন্ত্রনা থেকে যায়। পরবর্তিতে এই পুঞ্জিভুত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে এবং আরও ঘটনার জন্ম হয়। আব্দুল কুদ্দুছ খুন হওয়ার পর আমরা বলেছিলাম আসামীদের বাড়ীতে কোন লুটপাট হবে না। কিন্তু আমার পিতার লাশ বাড়ীতে থাকা অবস্থায় মাসুক মিয়া ও তার লোকজন পুলিশের সামনে নিজেদের লোক দিয়ে রাতের অন্ধকারে তাদের বাড়ী-ঘর ভাঙ্গিয়া আমার খুনের মামলার স্বাক্ষীদের উপর দ্রুত বিচার মামলা দায়ের করে। তারা নিজেদের বাড়ী নিজেরা পুড়াইয়া অসংখ্য মামলা দায়ের করেছে। এই মামলার ভয়ে আমাদের পুরুষ লোকজন বাড়ী ছেড়ে চলে যায়। তখন তারা আমার বাড়ীতে হামলা করে ৬ জন নারীকে আহত করে।
মামুন মোল্লা বলেন, তার দায়েরী খুনের মামলার ১ ও ২ নং আসামীসহ অসংখ্য আসামী প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করে। তারা প্রকাশ্যে বলে বেড়ায় যে তাদের হাত অনেক লম্বা। পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করার ক্ষমতা নেই। শুধু তাই নয়। তারা হুমকি প্রদর্শন করে আমার স্বাক্ষীদেরকে ও আত্মীয়-স্বজনদেরকে খুন করিবে বা মামলা মোকদ্দমা দিয়ে দেশ ছাড়া করবে। তারা এ কথাও বলছে আমি নাকি খুনের মামলা আপোষ করতে বাধ্য হব। তারা তাকে ফোনেও হুমকি দিচ্ছে ঢাকায় তার ব্যবসাও তারা বন্ধ করে দিবে। তিনি তার পিতা হত্যার ন্যয় বিচার পাওয়ার জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে নিহত আব্দুল কৃদ্দুছ মোল্লার স্ত্রী রহিমা বেগম, অপর ছেলে জাকারিয়া মোল্লা, আত্মীয় আবুল হাসনাত ও সুজাত মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।

প্রথম পাতা