এমপি আব্দুল মজিদ খানের নির্বাচনী হলফনামা ॥ গত ৫ বছরে সম্পদ বেড়েছে গড়ে ৪ গুণ
তারিখ: ৬-ডিসেম্বর-২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার ॥

হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খান বানিয়াচং উপজেলার ৯নং পুকড়া ইউনিয়নের কবিরপুর গ্রামের আব্দুল হাসিম খান ও ছালেমা খাতুনের পুত্র। আব্দুল মজিদ খানের শিক্ষাগত যোগ্যতা বি.কম, এলএলবি। তাঁর নামে কোন মামলা-মোকদ্দমা নেই। তিনি পেশায় আইনজীবী। তাঁর আয়ের খাত গুলোর মধ্যে কৃষি থেকে বাৎসরিক আয় হয় ২৩ হাজার ৪শ টাকা, বাড়ি ভাড়া থেকে বছরে পান ৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা, মৎস্য ব্যবসা থেকে বার্ষিক ২০ লাখ টাকা, সংসদ সদস্য হিসেবে বছরে পরিতোষিক ভাতা পান ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা, রবিশস্য থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এমপি মজিদ খানের হাতে নগদ রয়েছে ২ লাখ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে ২৫ লাখ ২৪ হাজার টাকা। তাঁর রয়েছে ২টি গাড়ি। একটি টয়োটা ফরচুনা জীপ। যার মূল্য ২৫ লাখ ৫০ হাজার ও অপরটি হার্ড জীপ (৪৫০০ সিসি)। যার মূল্য ৫০ লাখ টাকা। তাঁর বাসায় রঙ্গিন টিভি, ফ্রিজ রয়েছে ৪০ হাজার টাকার, ফার্নিচার রয়েছে ২০ হাজার টাকা মূল্যের। তার কৃষি জমির পরিমাণ ৩.০০ একর। যার অর্জনকালীন মূল্য ৩০ হাজার টাকা। অকৃষি জমি রয়েছে ৮৩ শতক ৫০ অযুতাংশ। যার অর্জনকালীন সময়ের মূল্য ১৮ হাজার ৫৫৬ টাকা। আরও ৫০ শতক জমির অর্জনকালীন মূল্য ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭৭৫ টাকা। এছাড়াও ৭ কাটা ৮ ছটাক অকৃষি জমির অর্জনকালীন মূল্য ২০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। তার ৬ তলা ভিত্তির ৪ তলা বিশিষ্ট বাসা রয়েছে। ওই বাসার অর্জনকালীন মূল্য ১ কোটি ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭১৩ টাকা। তিনি ইতিপূর্বে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং শরীফ উদ্দিন সড়ক, আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং ভায়া শিবপাশা সড়ক, বানিয়াচং-নবীগঞ্জ সড়ক বাস্তাবায়ন করেছেন। গ্রামে গ্রামে বিদ্যুতায়ন হয়েছে ৮০%। অবশিষ্ট ২০% চলমান। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এমপি আব্দুল মজিদ খানের স্বাক্ষরযুক্ত নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানাগেছে।

এদিকে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামা অনুযায়ী গত ৫ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে গড়ে ৪ গুণেরও বেশি। এছাড়াও তার আয়ের খাতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে মৎস্য ব্যবসা। নতুন হলফনামা অনুযায়ী এ ব্যবসায় তার বার্ষিক আয় ২০ লাখ টাকা। পাশাপাশি গত ৫ বছরে তার দায়-দেনা পরিশোধ হয়েছে ২৪ লাখ ৫২ হাজার ৮শত টাকা। তবে কৃষিখাতে তার বার্ষিক আয় কমেছে ১ হাজার ৮শত টাকা।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি দেখিয়েছিলেন বাড়ি/এপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবতে বছরে আয় করেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ২শত ৫০ টাকা। একই খাতে এবারের হলফনামা অনুযায়ী বছরে তার আয় হচ্ছে ৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা। অর্থাৎ উল্লেখিত খাতে তার বাৎসরিক আয় বেড়েছে দুই গুণেরও বেশি। দশম জাতীয় সংসদের হলফনামায় তিনি দেখিয়েছিলেন অন্যান্য খাতে তার বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। একই খাতে (রবিশষ্য) এবারের হলফনামা অনুযায়ী বছরে তার আয় হচ্ছে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। অর্থাৎ এ খাতেও তার বাৎসরিক আয় বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। দশম জাতীয় সংসদের হলফনামায় তিনি নগদ টাকা দেখিয়েছিলেন ১ লাখ। এবারের হলফনামায় নগদ দেখানো হয়েছে ২ লাখ। অর্থাৎ তার নগদ টাকার পরিমান বেড়েছে দ্বিগুণ। দশম জাতীয় সংসদের হলফনামা অনুযায়ী তার ব্যাংকে জমাকৃত টাকার পরিমান ছিল ৩ লাখ। এবারের হলফনা অনুযায়ী ব্যাংকে জমা আছে ২৫ লাখ। অর্থাৎ ব্যাংক ব্যালেন্সের পরিমান বেড়েছে ৮গুণ। দশম জাতীয় সংসদের হলফনামায় তিনি দেখিয়েছিলেন তার রয়েছে ১টি টয়োটা ফরচুনা জীপ। যার মুল্য ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এবারের হলফনামা অনুযায়ী তার গাড়ির সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে  ২টি। নতুন করে ক্রয় করা গাড়িটির নাম হার্ড জীপ (৪৫০০ সিসি)। যার মূল্য ৫০ লাখ টাকা। দশম জাতীয় সংসদের হলফনামায় তিনি অকৃষি জমির পরিমান দেখিয়েছিলেন ৮৩ শতক ৫০ অযুতাংশ। যার অর্জনকালীন সময়ের মূল্য ১৮ হাজার ৫৫৬ টাকা। এছাড়াও ৫০ শতক অকৃষি জমি ছিল তার। যার অর্জনকালীন মূল্য ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭৭৫ টাকা। এবারের হলফনামা অনুযায়ী তিনি আরও ৭ কাটা ৮ ছটাক অকৃষি জমির মালিক হয়েছেন। যার অর্জনকালীন মূল্য ২০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ মুল্য অনুপাতে তার অকৃষি জমিও বেড়েছে ১০ গুণ। এছাড়াও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তার দায়-দেনা ছিল ২৪ লাখ ৫২ হাজার ৮শত টাকা। এবারের হলফনামায় তার কোন দায়-দেনার কথা উল্লেখ নেই। অর্থাৎ গত ৫ বছরে উল্লেখিত পরিমান টাকা পরিশোধ হয়েছে। তবে দশম জাতীয় সংসদের হলফনামা অনুযায়ী কৃষিখাতের তার বার্ষিক আয় কমেছে। সে সময় তার বার্ষিক আয় ছিল ২৫ হাজার ২শত টাকা। এবারের হলফনামা অনুযায়ী এ সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ২৩ হাজার ৪শত টাকা হয়েছে।

প্রথম পাতা