এমপি মাহবুব আলী’র নির্বাচনী হলফনামা ॥ ৫ বছরে নগদ টাকা ও ব্যাংক ব্যালেন্স বেড়েছে গড়ে ৯ গুণ ॥ স্ত্রীর ব্যাংক ব্যালেন্স বেড়েছে ১৭ গুণ
তারিখ: ৭-ডিসেম্বর-২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার ॥

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ মাহবুব আলী মাধবপুর উপজেলার বানেশ্বর গ্রামের সাবেক এমপি মৃত মোঃ আছাদ আলী ও মৃত হুছনে আরা বেগমের পুত্র। মাহবুব আলীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এল.এল.বি। তাঁর নামে কোন মামলা-মোকদ্দমা নেই। তিনি পেশায় আইনজীবী। তাঁর আয়ের খাত গুলোর মধ্যে কৃষি থেকে বাৎসরিক আয় হয় ৮০ হাজার টাকা। বাড়ি ভাড়া থেকে বছরে পান ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ৩৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। সংসদ সদস্য হিসেবে বছরে পরিতোষিক ভাতা পান ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯শত ৫ টাকা। বছরে পেশাগত আয় ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এমপি মাহবুব আলীর হাতে নগদ রয়েছে ৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। ব্যাংকে জমা আছে ৮০ লাখ ৭ হাজার ৫১৬ টাকা। তার স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা আছে ১ কোটি ৮ হাজার ১৮ টাকা ১৯ পয়সা। স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৫ লাখ টাকা। তার স্ত্রীর নামে স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ (এফডিআর) ৭৮ লাখ ৮৮ হাজার ৬শত ৪০ টাকা। তার স্ত্রীর নামে অন্যান্য ব্যবসায় মুলধন হিসেবে আছে ৭১ লাখ ৪২ হাজার ৮শত ৮০ টাকা। মাহবুব আলীর রয়েছে ২টি গাড়ি। এগুলো হল, ঢাকা মেট্রো গ-১৯৬৫৫৩ ও ঢাকা মেট্রো ঘ-১৫৩৩৪৭। যার মূল্য ৫৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তার ও তার স্ত্রীর রয়েছে ৬০ ভরি স্বর্ণালংকার। কৃষি জমির পরিমাণ ২৪ বিঘা। যার অর্জনকালীন মূল্য ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ৪ তলা বিশিষ্ট একটি ভবনের মালিক তিনি। যার অর্জনকালীন মূল্য ৩৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।  আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এমপি মাহবুব আলীর স্বাক্ষরযুক্ত নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানাগেছে।

এদিকে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী কৃষি খাতে তার বার্ষিক আয় ছিল ৫৫ হাজার ৬শত টাকা। এবারের হলফনামা অনুযায়ী কৃষি খাতে তার বার্ষিক আয় ৮০ হাজার টাকা। অর্থাৎ এ খাতে তার বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। গত হলফনামা অনুযায়ী ব্যবসা খাতে তার কোন আয় ছিল না। কিন্তু এবারের হলফনামায় এ খাতে তার বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ৩৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। গত হলফনামায় তার কোন শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত ছিল না। কিন্তু এবারের  হলফনামা অনুযায়ী এ খাতে দেখানো হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯শত ৫ টাকা। গত হলফনামা অনুযায়ী তার পেশাগত বার্ষিক আয় ছিল ৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা। এবারের হলফনামায় দেখানো হয়েছে এ খাতে তার বার্ষিক আয় ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অর্থাৎ এ খাতে তার বার্ষিক আয় বেড়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। গত হলফনামা অনুযায়ী তার হাতে নগদ ছিল ৭৩ হাজার ২শত ৫ টাকা। এবারের হলফনামা অনুযায়ী তার হাতে নগদ আছে ৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ গত ৫ বছরে তার নগদ টাকা বেড়েছে ৭ গুণেরও বেশি। গত হলফনামা অনুযায়ী তার নামে ব্যাংকে জমা ছিল ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪২ টাকা। এবারের হলফনামায় তার নামে ব্যাংকে জমা দেখানো হয়েছে ৮০ লাখ ৭ হাজার ৫১৬ টাকা। অর্থাৎ গত ৫ বছরে ব্যাংকে তার জমাকৃত টাকার পরিমান বেড়েছে ১২ গুণের বেশি। গত হলফনামা অনুযায়ী তার স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা ছিল ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫শত ৬৩ টাকা। এবারের হলফনামায় তার স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৮ হাজার ১৮ টাকা ১৯ পয়সা। অর্থাৎ গত ৫ বছরে তার স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমাকৃত টাকার পরিমান বেড়েছে ১৭ গুণেরও বেশি। গত হলফনামা অনুযায়ী তার স্থায়ী আমানতে কোন প্রকার বিনিয়োগ ছিল না। এবারের হলফনামায় তার স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ দেখানো হয়েছে ৫ লাখ টাকা। গত হলফনামা অনুযায়ী তার স্ত্রীর নামে স্থায়ী আমানতে কোন প্রকার বিনিয়োগ ছিল না। এবারের হলফনামায় তার স্ত্রীর নামে স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ (এফডিআর) ৭৮ লাখ ৮৮ হাজার ৬শত ৪০ টাকা। গত হলফনামায় তার স্ত্রীর নামে ব্যবসায় কোন মুলধন ছিল না। এবারের হলফনামায় তার স্ত্রীর নামে ব্যবসার মুলধন দেখানো হয়েছে ৭১ লাখ ৪২ হাজার ৮শত ৮০ টাকা। গত হলফনামায় তার একটি মাত্র গাড়ি ছিল। এবারের হলফনামায় তার গাড়ির সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ২টি। যার মূল্য ৫৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

প্রথম পাতা