হবিগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ কাজ জাতীয় জাদুঘরের বিশেষ টিমের পরিদর্শন
তারিখ: ১৩-জানুয়ারী-২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার ॥

মহান মুক্তিযুদ্ধে হবিগঞ্জ তথা সিলেটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরী। তাঁর কাছে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র (তারবার্তা) আসে। এ ঘোষণাপত্রসহ মুক্তিযুদ্ধের বহু স্মারক পড়ে রয়েছে হবিগঞ্জে। এগুলো সংগ্রহ করার জন্য ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগার’ নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। হবিগঞ্জ জেলা শহরের স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় কেয়া চৌধুরীর দেয়া ভূমিতে এ জাদুঘর নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে আসেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের  বিশেষ টিম।

১২ জানুয়ারি দুপুরে তারা এ পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- হবিগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) মোঃ আব্দুল মজিদ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আর্কিভিস্ট ও কনজারভেটর আমেনা খাতুন, ডিসপ্লে অফিসার শরীফ রেজা মাহমুদ, সহকারী আর্কাইভ অফিসার মন্টু বাবু সরকার, রেজাউল আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ডিসপ্লে অফিসার নাছির উদ্দিন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাসেল আহমেদ সরকার প্রমুখ। এ টিম নির্মাণাধীন ভবন ঘুরে দেখেন।  উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্র“য়ারি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত হয় দেশের তিন জেলায় ৭ কোটি ৯৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ব্যয়ে তিন বরণ্য ব্যক্তির নামে জাদুঘর নির্মাণ করার। এরমধ্যে হবিগঞ্জে নির্মাণ হচ্ছে “মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ভাষা সৈনিক কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগার”। এ সিদ্ধান্তের পর ২১ মার্চ বুধবার সকালে এ জাদুঘরের নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জাতীয় জাদুঘরের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) মোঃ আবদুল মজিদ জানান, এখানে কেয়া চৌধুরীর দানকৃত পৌনে ২ শতক ভূমিতে জাদুঘরের নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে।

তিনি বলেন, হবিগঞ্জে এ জাদুঘরটি হলে মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মারক সংগ্রহ করা যাবে। এর মধ্যে রয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত একটি জীপ গাড়ী, বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা পত্রের মূল কপিসহ বহু স্মারক। কেয়া চৌধুরী জানান, তার পিতা কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরী কর্তৃক রেখে যাওয়া জমিতে আঞ্চলিক মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। জাদুঘরের টিম পরিদর্শন করে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। এ জাদুঘর থেকে নতুন প্রজন্মরা মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাস জানতে পারবে।

শেষ পাতা