খেলাফত মজলিস হবিগঞ্জ জেলা শাখার শূরার বৈঠক অনুষ্ঠিত
তারিখ: ১৪-এপ্রিল-২০১৯
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস হবিগঞ্জ জেলা শাখার  উদ্যোগে জেলা কার্যালয়ে জেলা শুরার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বিকালে সংগঠনের জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আকিল পুরীর সভাপতিত্বে উক্ত সভায় প্রধান মেহমান ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহা-সচিব শেয়খুর হাদিস আল্লামা জালাল উদ্দিন আহমদ ও মাওলানা আব্দুল আজিজ। বক্তব্য রাখেন জেলা নির্বাহী সভাপতি মাওলানা মোঃ আনোয়ার আলী, সহ-সভাপতি কাজী মাওলানা হারুনুর রশিদ চৌধুরী, মাওলানা আমিমুল এহসান মাসুম, মাওলানা আব্বাস আলী, হাফিজ আব্দুল হামিদ, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল্লাহ মীর পুরী, সহ-সেক্রেটারী মাওলানা নোমান আহমদ, সহ-সেক্রেটারী এবং চুনারুঘাট থানা সভাপতি মাওলানা আব্দুল কদ্দুছ নোমান, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আশিকুর রহমান, হবিগঞ্জ শহর শাখার সভাপতি মাওলানা মুফতি মাহবুবুর রহমান, জেলা দপ্তর সম্পাদক মৌলভী শিব্বির আহমদ ইয়াকুত, জেলা নির্বাহী সদস্য এবং ইমামবাড়ী জোন-এর সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহমান প্রমুখ।প্রধান মেহমান তার বক্তৃতায়  বলেন দেশে নেতার পরিবর্তন হচ্ছে, নীতিও যার যার সুবিধামত বদলানো হচ্ছে কিন্তু মানুষের ভাগ্যের কোনো উন্নতিতো হচ্ছেইনা বরং অবনতীই হচ্ছে। অতএব একথা পরিস্কার যে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দেওয়া খেলাফত ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠা ব্যাতিরেখে মানুষের শান্তি আসতে পারেনা। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, যেহেতু ভারতবর্ষ থেকে ইতিমধ্যে ইসলাম এবং মুসলমানদেরে বিতাড়িত করার পায়তারা শুরু হয়ে গেছে, মায়ানমার থেকে মুসলমানদেরে বের করে দেওয়া হয়ে গেছে, ইন্ডিয়াতে লাখো লাখো মুসলমানদেরে নাগরিকত্ত দেওয়া হচ্ছেনা, মসজিদগুলো ভেঙ্গে ফেলা দেওয়ার হুমকি আসছে, তাই যে কোনো মুল্যেই হোক দলমত নির্বিশেষে সকল উলামায়ে কেরাম দেরকে এক ফ্ল্যাট ফরমে আসতে হবে। এদেশ থেকে ইসলামকে বিতাড়িত করার জন্য ইতিমধ্যে একশ্রেনীর নাস্তিক এবং মুশরিক আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে অতএব সকলকে সাবধানতার সাথে কাজ করতে হবে। পৃথিবীর কোনো দেশেই ইসলাম এবং মুসলমানগন নিরাপদ নন তাই আলেমদেরে এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। ইসলামী হুকুমত কায়েম হলে কি লাভ হবে তা জনসাধারনকে বুঝাতে হবে। দক্ষিন এশিয়া থেকে ইসলাম এবং মুসলমাদেরকে বিতাড়িত করার  জন্য ইতিমধ্যে ভারত, চীন এবং রাশিয়া পায়তারা শুরু করেছে এর প্রমান হল রুহিঙ্গা এবং আসামের মুসলমাদের দুর্দশা। এখন আর ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই মাঠে ঝাপিয়ে পড়তে হবে, নিজের জান-মাল খরচ করে আল্লাহর জমীনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের লক্ষে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমরা কামিয়াব হব। পরিশেষে মাওলানা আব্দুল্লাহ আকিলপুরীকে সভাপতি, মাওলানা মোঃ আনোয়ার আলীকে নির্বাহি সভাপতি এবং মাওলানা আব্দুল কদ্দুছ নোমানকে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী ২ বৎসরের জন্য ৩৫ সদস্য বিশিষ্ঠ কার্যনির্বাহী কমিঠি গঠন করা হয়।