পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ ॥ বানিয়াচঙ্গে মহিলা ইউপি সদস্যকে তোলে নিয়ে শিকলে বেঁেধ নির্যাতন
তারিখ: ৫-মে-২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার ॥

বানিয়াচংয়ে কানন বালা দেব নামে এক মহিলা ইউপি সদস্যকে বলপূর্বক তোলে নিয়ে দরজা বদ্ধ ঘরে সিকলে বেঁধে নির্যাতন করেছে প্রতিপক্ষের লোকেরা। সুদের টাকার জেরে তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়। পুলিশ গিয়ে কানন বালাকে সিকলে বাধা বন্দীদশা থেকে উদ্ধার করে। শনিবার দুপুরে বানিয়াচং সদরের রায়েরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। কানন বালা একই পাড়ার সুনীল চন্দ্র দেবের স্ত্রী। তিনি দক্ষিণ-পশ্চিম ইউপির সংরক্ষিত ওয়ার্ডের প্রাক্তণ সদস্য। কানন বালা দেব জানান, মেয়ে বিয়ে দেয়ার সময় পাশের গ্রামের টেনু মিয়ার স্ত্রী দোলন বেগমের কাছ থেকে সুদের ওপর ১ লাখ টাকা নেন। এসময় ব্যাংকের দুটি চেকের পাতাও দেন দোলন বেগমকে। ১ লাখ টাকায় ৬ মাসে নগদ ৭৮ হাজার টাকা লাভ দেন। পরবর্তীতে ৫ লাখ টাকা মূল্যের বাড়ির ৫ শতক জায়গাও দেন রেজিস্ট্রি করে। রেজিস্ট্রি অফিসে চেকের পাতা ফেরত চাইলে বাড়িতে এসে দেবে বলে। বাড়িতে এসেও চেক ফেরত দেয়নি। নানা অজুহাতে সময় ক্ষেপন করে। শনিবার সকাল ১১টার দিকে পুকুরপাড় থেকে কানন বালাকে জোরপূর্বক তুলে নেয় দোলন ও তার স্বামী টেনু মিয়া। দোলনের ঘরের মধ্যে আটকে রেখে শারীরিক ও মানুসিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে কানন বালাকে ঘরের মধ্যে রেখে বাহিরে তালাবন্ধ করে রাখে। কানন বালাকে তুলে নেয়ার সময় পাশের বাড়ির ফারজান নামে এক ছেলে দেখেছে। ফারজিন কানন বালার পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ দ্রুত পৌঁছে কানন বালাকে বন্দিদশা অবস্থায় উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দোলন বেগম পালিয়ে যান।

এ সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত টেনু মিয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে অস্বীকার করেন। তবে লেনদেন নিয়ে এরকম ঘটনা ঘটেছে এটি তিনি পরস্পর মাধ্যমে শুনেছেন।

বানিয়াচং থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদ মোবারক বলেন, খবর পাওয়ামাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনার সাথে জড়িতরা পালিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

প্রথম পাতা