লাখাইয়ে ডুবন্ত সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল
তারিখ: ১১-জুলাই-২০১৯
লাখাই প্রতিনিধি ॥

ঋতুর পরিক্রমায় বাংলাদেশের প্রকৃতিতে চলছে বর্ষাকাল। একটু একটু করে বর্ষা সাজছে তার চিরচেনা রুপে। নদ-নদী, খাল-বিল বর্ষার পানিতে টইটম্বুর। ডুবেছে মাঠ-ঘাট, এমনকি বর্ষার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে গ্রামীন কাঁচা, আধা কাঁচা ও পাঁকা রাস্তা গুলো। আর এসব ডুবে যাওয়া রাস্তা দিয়েই এক শ্রেণীর লোভি প্রকৃতির অটোরিক্সা চালকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী আনা-নেয়া করছে। এতে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা। গত সোমবার সকালে এমন দৃশ্য দেখা যায়, লাখাই উপজেলার ডিসি সড়কে। লাখাই বাজার থেকে চিকনপুর ব্রীজ পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তা পাঁকা করা। কিন্তু নিন্মাঞ্চল হওয়ায় প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে পানিতে তলিয়ে যায় রাস্তাটি। এ সুযোগে অটোরিক্সা চালকরা বেশি ভাড়া আদায়ের লোভে পানিতে ডুবে যাওয়া রাস্তা দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী আনা নেয়া করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া ৩ কিলোমিটার সড়কের কোন অংশই দৃশ্যমান নয়। স্থানীয়দের ভাষ্য এ রাস্তায় রয়েছে একাধিক ভাঙ্গা। আর দীর্ঘদিন ধরে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে পাঁকা অংশ ছাড়া রাস্তার দু’পাশের মাটি নরম হয় আছে। সেই সাথে রাস্তার দু’পাশে খাল-বিলসহ রয়েছে একাধিক কালভার্ট। ডুবে যাওয়া রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে প্রায় সময়ই ঘটছে ছোট-ছোট দূর্ঘটনা। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই চলছে সিএনজি, টমটম অটোরিক্সা। আর সময় বাঁচাতে কোলের শিশুসহ বৃদ্ধ নারী পুরুষ সকলেই চলছেন হাতের মুঠোয় জীবন নিয়ে। যাত্রীরা জানান, নৌকা চলাচল কম থাকায় বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের।

সাইফুল ইসলাম নামে একযাত্রী বলেন, ‘এখান দিয়ে নৌকা চলাচল একদম কম। দুই/তিন ঘন্টা পরপর একটি নৌকা ছাড়ে। তাই জীবনের ঝুঁকি আছে জেনেও টমটম/সিএনজির মতো অটোরিক্সা দিয়েই যেতে হচ্ছে।’ স্থানীয় বাসিন্দা সুমেরেন্দ্র দাস বলেন, ‘পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তা দিয়ে লাভের আশায় চালকরা গাড়ি চালাচ্ছেন। যাত্রীদের মনেও ভয় নেই। ছেলে মেয়েদের নিয়ে দেখা যায় তারা এভাবেই ছোটে চলছে।’

তিনি বলেন- ‘কয়েকদিন আগে রাস্তা ‘টাহর’ (বুঝতে পারা) করতে না পারায় খালে চলে যায় একটি সিএনজি। তবে সেখানে কোন শিশু বা মহিলা না থাকায় তেমন কোন অঘটন ঘটেনি।’

প্রথম পাতা