নবীগঞ্জে ‘হিরা মিয়া গার্লস স্কুলে’র নির্বাচনী পরিক্ষায় অর্ধেক শিক্ষার্থীকে ফেল দেয়ার অভিযোগ ॥ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থার আশ্বাস ইউএনওর
তারিখ: ৮-নভেম্বর-২০১৯
মুজাহিদ চৌধুরী, নবীগঞ্জ ॥

নবীগঞ্জে ‘হিরা মিয়া গার্লস হাইস্কুলে’ নির্বাচনী পরিক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে অর্ধেক শিক্ষার্থীকে অকৃতকার্য দেখিয়ে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ ম্যানেজিং কমিটির সাথেও বিষয়টি সমন্বয় করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আশরাফুল আলমের একক সিদ্ধান্তেই এই ফলাফল প্রকাশ করা হয় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষকরা। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে অকৃতকার্য শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা ফলাফলের মার্কশীট দেখার জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে দাবী জানান। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তা দেখাতে না চাইলে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেন। সূত্রে জানায়, ‘হিরা মিয়া গার্লস হাইস্কুলে’ ২০২০ সালের এসএসসির নির্বাচনী পরিক্ষায় মোট ২শ’ ১৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ১০৮ জন শিক্ষার্থীকে কৃতকার্য দেখানো হয়। বাকি ১০৭ জন শিক্ষার্থীকে গণিতসহ ৩, ৪, ৫টি বিষয়ে অকৃতকার্য্য দেখিয়ে বুধবার ফলাফল প্রকাশ করেন ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আশরাফুল আলম। অর্ধেক শিক্ষার্থী ফেল করার বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেল করা সকল শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা স্কুলে এসে মার্কশীট দেখতে চান। কিন্তু প্রধান শিক্ষক দেখানে অনিহা প্রকাশ করেন। এ সময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এদিকে, নির্বাচনী পরিক্ষায় ফেল দেয়া ১০৭ জন শিক্ষার্থীকে এসএসসি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না বলে জানা গেছে। ফলে এই সকল শিক্ষার্থীর জীবন এখন অনিশ্চয়তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকদের সাথে সমন্বয় না করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম এই ফলাফল প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে ‘হিরা মিয়া গার্লস হাইস্কুল’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম জানান, কয়েকজন শিক্ষার্থী আজ স্কুলে এসে অসৌজন্যমূলক আচরনসহ হট্টগোল সৃষ্টি করে। তবে ১০৭ জন শিক্ষার্থীকে ফেল দেয়ার বিষয়ে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদ বিন হাসান বলেন- ‘বিষয়টি শুনেছি, খোঁজ খবর নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

প্রথম পাতা