“আ’লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ নিহত ১ ॥ পর্তুগালে নবীগঞ্জের ২ প্রবাসী গ্রেফতার” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা
তারিখ: ২২-জানুয়ারী-২০২০

গত ২১ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত “দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচার”, “দৈনিক হবিগঞ্জের জনতার এক্সপ্রেস” ও নবীগঞ্জ থেকে প্রকাশিত “দৈনিক বিবিয়ানা”সহ একাধিক পত্রিকায় এবং অনলাইন মিডিয়ায় “আ’লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ নিহত ১ ॥ পর্তুগালে নবীগঞ্জের ২ প্রবাসী গ্রেফতার”সহ ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সংবাদে আমাকে জড়িয়ে যে তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক বটে। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে সিলেটের ওসমানী নগরের বাসিন্দা ও পর্তুগাল আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ফরহাদ আহমদ এবং আমি নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউপির কালাভরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও পর্তগাল বিএনপির সভাপতি অলিউর রহমানের মধ্যে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী বিষয় নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে, যা সম্পূর্ণ রূপে মিথ্যা। সাংবাদিক ভাইদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে উল্লেখিত পত্রিকাগুলোতে ভুল সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এখানে আওয়ামীলীগ-বিএনপির কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। কেউ নিহত হয়নি এমনকি কেউ গ্রেফতারও হয়নি। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, উল্লেখিত ফরহাদ আহমদ কর্তৃক সংঘটিত বিভিন্ন বিশৃঙ্খলার অভিযোগে পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটি সংগঠন, সিলেট অঞ্চলের প্রবাসী সংগঠন এবং বাইতুল মোর্কারমত জামে মসজিদ, লিসবন-কমিটি থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়, এতে সে চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়। এই ঘটনার পর প্রায় ৪-৫ মাস ফরহাদ আহমদকে এই এলাকায় দেখা যায়নি। কিছুদিন পূর্বে সে ৫/৭জন বহিরাগত লোকসহ পর্তুগালে আসে। ঘটনার দিন সে তার ঐ সঙ্গীদের নিয়ে তাকে বহিস্কারের ঘটনার জেরে বাংলাদেশ কমিউনিটির কয়েকজন ব্যক্তির উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলায় আহতের মধ্যে ২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়া হয় এবং অপর আহত ২ ব্যক্তির অবস্থা গুরুতর হওয়া তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার সময় আমি কিংবা আমার দলের কোন লোক ঐ স্থানে উপস্থিত ছিলামনা এবং আমি ঐ ঘটনার সাথে কোনভাবেই সম্পৃক্ত নই। এই ঘটনার সাথে আওয়ামীলীগ কিংবা বিএনপিরও দলীয় কোন সম্পৃক্ততা নেই। ঘটনাটি মূলত পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটর সাথে ব্যক্তি ফরহাদের দন্দ। তাই আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
প্রতিবাদকারীÑ
অলিউর রহমান
সভাপতি- পর্তুগাল বিএনপি
সাং- কালাভরপুর, ১০নং দেবপাড়া ইউ/পি
নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা