ইসলামী সংগ্রাম পরিষদ হবিগঞ্জের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত
তারিখ: ১৮-অক্টোবর-২০২০
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥

ইসলামী সংগ্রাম পরিষদ, হবিগঞ্জ এর সভাপতি আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওঃ আবু ছালেহ ছাদী ও আলহাজ্ব মহিব উদ্দিন আহমদ সোহেল এর যৌথ পরিচালনায় ইসলামী সংগ্রাম পরিষদের এক প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার ১০টায় হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন- শায়খুল হাদীস আল্লামা মুনির উদ্দিন, এডভোকেট মনসুর উদ্দীন আহমদ ইকবাল, এম.এ রাজ্জাক, শায়খ আঃ হেকিম, মাওলানা যুবায়ের আহমদ, মাওলানা কাজী হারুন রশীদ, মাওলানা জয়নাল আবেদীন, মাওলানা সুহাইল আহমদ, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম মীরপুরী, জাকারিয়া চৌধুরী, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা আজিজুর রহমান মানিক, মাওঃ আজিজুল হক, মাওলানা আব্বাস আলী, আঃ মজিদ সাবেক কমিশনার, মাওলানা সুলতান মাহমুদ, মাওলানা নুরুল হক নবীগঞ্জী, মাওলানা এমদাদুল্লাহ, আলহাজ্ব ফরিদ উল্লাহ, মাওলানা মসিউর রহমান, মাওলানা আলী আহমদ, মাওলানা সাইদুর রহমান, মাওলানা আনোয়ার আলী, ক্বারী আব্দুল হালিম প্রমুখ।

ইসলামী সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু ছালেহ ছাদী বলেন- ইসলামী সংগ্রাম পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আল্লামা মুখলিছুর রহমান (রহঃ) ২০০১ সালে ইন্তেকাল করেন। তার স্থলাভিষিক্ত সভাপতি হিসেবে আল্লামা তাফাজ্জুল হক মুহাদ্দিসে হবিগঞ্জী (রহঃ) কে মনোনীত করা হয়। তিনি প্রায় ২০ বছর সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে ২০২০ সালে ইন্তেকাল করেন। আল্লামা তাফাজ্জুল হক মুহাদ্দিসে হবিগঞ্জী (রহঃ) এর ইন্তেকালের পর ইসলামী সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক (আবু ছালেহ ছাদী) এর আহবানে ৭ মার্চ হবিগঞ্জ বার লাইব্রেরীতে এক জরুরী সভা আহবান করা হয়। এতে প্রত্যেক উপজেলা ও পৌরসভা থেকে শতাধিক সদস্য অংশগ্রহণ করেন। মরহুম আলহাজ্ব এড. আঃ মতিন খাঁনের প্রস্তাবে ও উপস্থিত সকল সদস্যবৃন্দের সর্বসম্মতিক্রমে আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরীকে সভাপতি মনোনীত করা হয়। বর্তমানে তাঁরই বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ পরিচালিত হচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী বলেন- ইসলামী সংগ্রাম পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা মুখলিছুর রহমান (রহঃ) এর গোটা জীবনটাই ছিল সংগ্রামী। তাই তিনি গঠনও করেছেন ইসলামী সংগ্রাম পরিষদ। আল্লাহর রাহে জেহাদই ছিল তাঁর আতœার খোরাক। অন্যায়ের সামনে তিনি কখনো মাথা নত করেননি। অন্যায়-অত্যাচারে বাধা প্রদান করার ব্যাপারেও তিনি কখনও পিছপা হননি। তাঁর অস্তিত্বই ছিল সকল অনাচারের মোকাবেলায় একটা পর্বত সমান বাধার মত। তাঁর আজীবন আপোষহীন জেহাদী নেতৃত্ব পরবর্তী প্রজন্মের জন্য চিরকাল অনুপ্রেরণার অন্যতম উৎস হয়ে থাকবে।

শেষে প্রতিনিধি সম্মেলনে ১১ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্ঠা কমিটি, ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ও ৭ সদস্য বিশিষ্ট বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। অধিকন্তু ইসলামী সংগ্রাম পরিষদের জন্য একটি সংবিধান প্রণয়ণের লক্ষ্যে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি সাব কমিটি ঘোষণা করা হয়। আল্লামা মুনির উদ্দীনের মুনাজাতের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি হয়।

প্রথম পাতা