হবিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন- ৭ ॥ ময়লা-আবর্জনার ভাগার অপসারণ করে পরিচ্ছন্ন ও মডেল ওয়ার্ড গড়তে চান ৭নং ওয়ার্ডের প্রার্থীরা
তারিখ: ২২-নভেম্বর-২০২০
দিদার এলাহী সাজু/নিরঞ্জন গোস্বামী শুভ ॥

আসন্ন হবিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরামহীন প্রচারণা চলছে ৭নং ওয়ার্ডে। দিন যতই যাচ্ছে ততই বাড়ছে প্রার্থীদের ব্যস্ততা। রাজনগর, কলেজ কোয়ার্টার, মাষ্টার কোয়ার্টার, পুরাতন হাসপাতাল কোয়ার্টার (দিগন্ত পাড়াসহ), সবুজবাগের একাংশ, কোর্ট মসজিদ এলাকা, শ্বশ্মান ঘাট, জেলা আনসার অফিস এলাকা, পুরাতন পৌরসভা ও সদর থানা এলাকা নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ভোটার প্রায় ৫ হাজার। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, কিবরিয়া মিলনায়তন সংলগ্ন বাইপাস সড়কস্থ অঘোষিত ‘ডাম্পিং স্পট’, অপ্রসস্থ ড্রেনেজ ব্যবস্থা, মাদক ও জলাবদ্ধতাই এ ওয়ার্ডের প্রধান সমস্যা। এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে ৭নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন ৫ জন প্রার্থী। এরা হলেন, ২ বারের নির্বাচিত বর্তমান কাউন্সিলর আব্দুল আউয়াল মজনু, শাহ সালাউদ্দিন আহমেদ টিটু, সাবেক কমিশনার আব্দুল মোতালিব মমরাজ, মো. আতাউর রশিদ সিতু ও হারুনুর রশিদ। এদের মধ্যে মো. আতাউর রশিদ সিতুই একমাত্র নতুনমুখ।

আব্দুল আউয়াল মজনু ঃ রাজনগর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল আউয়াল মজনু এবার নিয়ে ৩য় বারের মত কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হচ্ছেন। তিনি এ ওয়ার্ডে টানা ২ বারের নির্বাচিত বর্তমান কাউন্সিলর। আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ছোট-খাট কিছু রাস্তা আর কিছু জলাবদ্ধতা ছাড়া বাকি প্রায় সবকাজই করা হয়েছে। তবে বাইপাস সড়কের ময়লা-আবর্জনার ভাগারটি আমাদের গলার কাটা। ডাম্পিং স্পট নির্ধারণ না হওয়ায় বিষয়টির সমাধান করা যাচ্ছেনা।’ তিনি বলেন, ‘পুনরায় নির্বাচিত হলে ৭নং ওয়ার্ডকে সবদিক দিয়ে ক্লীন ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলতে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালবো।’

শাহ সালাউদ্দিন টিটু ঃ রাজনগর যুব কমিটির সভাপতি ও রাজনগর ফুটবল স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি শাহ সালাউদ্দিন টিটু ২য় বারের মত প্রার্থী হচ্ছেন। গত নির্বাচনে ১ম বারের মত অংশগ্রহন করে ২য় স্থান অর্জন করেন তিনি। সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি সম্পন্ন করা শাহ সালাউদ্দিন টিটু’র দৃষ্টিতে দূর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থা, জলাবদ্ধতা ও বাইপাস সড়কস্থ ময়লা-আবর্জনার ভাগারকেই এ ওয়ার্ডের প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আলাপকালে তিনি ময়লা-আবর্জনার ভাগারটি উপযুক্ত স্থানে দ্রুত অপসারনের দাবি জানান। এছাড়াও তিনি ওয়ার্ডের রাস্তাঘাটের সংষ্কার ও রাজনগর কবরস্থানের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। নির্বাচিত হলে তিনি ওয়ার্ডবাসীর সার্বিক উন্নয়নে সর্বাত্বক প্রচেষ্টা চালাবেন বলে জানান।

আব্দুল মোতালিব মমরাজ ঃ সাবেক কমিশনার আব্দুল মোতালিব মমরাজ এবার নিয়ে ৪র্থ বারের মত প্রার্থী হচ্ছেন। রাজনগর পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য মমরাজ হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা, আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম, হবিগঞ্জ নাগরিক কমিটি, সুরবিতানসহ বহু সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত। তার দৃষ্টিতে অপ্রসস্থ ড্রেনেজ ব্যবস্থা, জলাবদ্ধতা ও মাদকের ছড়াছড়ি এ ওয়ার্ডের প্রধান সমস্যা। মাদকমুক্ত ওয়ার্ড ও বাইপাস সড়ক থেকে ময়লা-আবর্জনার ভাগার অপসারনই তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি।

হারুনুর রশিদ ঃ ৭নং ওয়ার্ডে ৩য় বারের কাউন্সিলর প্রার্থী হচ্ছেন রাজনগরের বাসিন্দা হারুনুর রশিদ। রাজনগর যুব কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তার দৃষ্টিতেও এ ওয়ার্ডের প্রধান সমস্যা বাইপাস সড়কস্থ ময়লা-আবর্জনার ভাগার। তিনিও এর অপসারন দাবি করেন। নির্বাচিত হলে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, রাস্তাঘাটের টেকসই উন্নয়নসহ ওয়ার্ডবাসীর সার্বিক কল্যাণে কাজ করবেন বলে জানান তিনি।

এছাড়াও এ ওয়ার্ডে ১ম বারের মত প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক কমিশনার আলহাজ্ব আব্দুর রশিদের পুত্র বহুলা ও রাজনগর পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য আতাউর রশিদ সিতু। প্রার্থী হিসেবে তিনিও চালাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। ওয়ার্ডবাসীর সার্বিক উন্নয়নে কাজ করাই তার একমাত্র লক্ষ্য বলে জানান তিনি।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা