আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় রাতের আঁধারে রমরমা জুয়া খেলার আসর বসেছে। অভিযোগ রয়েছে, পৌষ সংক্রান্তির নাম করে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল এ জুয়া খেলার আয়োজন করে। আর এতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে যোগ দেয় শত-শত জুয়াড়ি। গতকাল রাত ৮ টার পর থেকেই এ আসর বসলেও ১২ টার দিকে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে পালিয়ে যায় জুয়াড়িরা।
জানা যায়, পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উপজেলার জলসুখা গ্রামের কালভৈরব মাঠে মেলার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যার পর থেকেই জমতে থাকে এ মেলা। মেলায় নামে মাত্র কয়েকটি বিনোদনের দোকানপাঠ থাকলেও রাত ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে বসতে থাকে জুয়ার আসর। এক পর্যায়ে ৮ থেকে ১২টি জুয়ার আসর বসে সেখানে। সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, জুয়াড়িরা নগদ লাখ লাখ টাকা নিয়ে জুয়া খেলছেন। অনেকেই আবার জুয়ায় হেরে আসর থেকে বিদায় নিচ্ছে। আবার কেউ কেউ জুয়ায় হেরে সহকর্মী জুয়াড়ির কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে অন্যত্র গিয়ে জুয়া খেলছে। যা নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কথা না বলেও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে।
এক পর্যায়ে বিষয়টি আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করা হয়। পরে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় জুয়াড়িরা। যদিও স্থানীয়রা বলছেন, জুয়াড়িদের সাথে পুলিশের সখ্যতা রয়েছে। না হলে পুলিশ অভিযানকালে সবকটা জুয়াড়িকে আটক করতে পারতো। অথচ পুলিশ অভিযান কালে দূর থেকেই বাঁশি বাজালে পালিয়ে যায় জুয়াড়িরা।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আজমিরীগঞ্জ থানার (ওসি) মোঃ নূরুল ইসলাম। তিনি জানান, খবর পাওয়া মাত্রই আমি সেখানে পুলিশ পাঠাই। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় জুয়াড়িরা। তিনি বলেন, আজমিরীগঞ্জ থানা এলাকায় জুয়াড়িদের কোন স্থান নেই, খবর পাওয়া মাত্রই চালানো হবে অভিযান।