বাহুবলে দুইজন আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে নৌকার বিরোধীতা করার অভিযোগ
তারিখ: ১৬-মে-২০২২
স্টাফ রিপোর্টার \
গত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বাহুবল উপজেলার ¯œানঘাট ইউনিয়নে দুই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিত দাশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ, জেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগ বরাবর এ লিখিত 
অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে তিনি ¯œানঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুফিয়া মিয়া খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন। তবে অভিযুক্তদের দাবিÑ এ অভিযোগ মিথ্যা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত নির্বাচনে ¯œানঘাট ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন তৎকালীন চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম। তবে মনোনয়ন বোর্ড তাকে মনোনয়ন না দিয়ে নৌকা প্রতীক দিয়েছিলেন হারুন অর রশিদকে। কিন্তু মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অমান্য করে ফেরদৌস আলম এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুফি মিয়া খান দলের বিদ্রোহী প্রার্থী তোফাজ্জল হক রাহিনের পক্ষে কাজ করে তাকে বিজয়ী করেন। পরে তারা সকলে মিলে বিজয়োল্লাস করেন এবং ইউনিয়নজুড়ে মিষ্টি বিতরণ করেন। যার স্থির চিত্র ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তারা সাবেক চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম চৌধুরী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুফী মিয়া খানের দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী এ কর্মকান্ডের ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ফেরদৌস আলমের ওয়ার্ডে সবসময় নৌকা প্রতীক বেশি ভোট পেলেও এবার তাদের বিরোধীতার কারণে ২৪৫০ ভোটের মধ্যে নৌকা প্রতীকে পড়েছে মাত্র ৬৭ ভোট। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি সুফী মিয়া খানের সেন্টারে ২৩৩০ ভোটের মধ্যে নৌকা পেয়েছে মাত্র ৯৭ ভোট। এ সকল অভিযোগ তৃণমূল পর্যায়ে তদন্ত করলে আওয়ামী পরিবারের সবাই সাক্ষী দিবেন।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগটি মিথ্যা। আমি মনোনয়ন না পাওয়ায় নির্বাচন করিনি। নৌকার পক্ষে কাজ করেছি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নৌকা প্রতীক নিয়ে পরাজিত প্রার্থী হারুন অর রশিদ বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। এ ঘটনায় আমিসহ দলের সকল নেতাকর্মী মর্মাহত হয়েছি। আমি তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুফি মিয়া খান বলেন, আমি ৩৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ করি। কখনও নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নেইনি। এবারও নৌকার পক্ষে কাজ করেছি। আমার সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য এ অভিযোগ করা হয়েছে।