হবিগঞ্জ শহরতলীর সাব রেজিস্টার অফিস থেকে সমন্বয়কারী পরিচয় দিয়ে দলিল লিখক ও জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামকে তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সাদা পোষাকধারী সমন্বয়করা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছেন বলে চাউর হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিয়ে শহরজুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। এমন ঘটনায় সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।
জানা যায়, শহরে বৈষম্যবিরোধি একটি মামলার এজাহারভ‚ক্ত আসামী জেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাব রেজিস্টার অফিসের দলিল লিখক মোঃ তাজুল ইসলাম। তিনি সাবরেজিস্টার অফিসে নিয়মিত অফিস করছিলেন। গতকাল বিকেলে সাদা পোষাকধারী একদল দূর্বৃত্তরা সাব রেজিস্টার অফিসে প্রবেশ করে। এ সময় তারা নিজেদের সমন্বয়কারী পরিচয় দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার কথা বলে তাকে তুলে নিয়ে আসে। তবে পথিমধ্যে সমন্বয়করা কিছুক্ষন পর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিষয়টি রফাদফা করে তাকে ছেড়ে দিয়েছেন।
এদিকে, তাকে আটকের বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে অবগত করেন এক জেলা ছাত্রদল নেতা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পূর্বেই টাকার বিনিময়ে সমন্বয়কদের সাথে রফাদফা করা হয়। যে কারণে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলেও তাজুল ইসলামকে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবরেজিস্টার অফিসের এক দলিল লিখক জানান, বিকেলে অফিসে একদল যুবক তাকে ধরে নিযে যায়। পরে জানতে পেরেছি, তাকে পুলিশে না দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, বিকেলে কাজ শেষ করেছি, ঠিক ওই মূর্হুতে এক স্টাফ খবর দিল তাজুল ইমলামকে একদল সাদা পোষাকের সমন্বয়করা ধরে নিয়ে গেছে। টাকা আদায়ের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এটা এক ধরনের বাটপারী। সমন্বয়ক পরিচয়ে এটা এক ধরনের গুন্ডামী ও চাঁদাবাজি চলছে’।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকজন সমন্বয়ক আমাকে আটক করেছিল। আমার এক আত্মীয়ের সহযোগিতায় নিজেকে সেফ করতে পেরেছি’।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, তাকে আটক করা হয়েছে বলে এক জেলা ছাত্রদল নেতা অবগত করেন। তবে পুলিশ সেখানে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি’।