আজমিরীগঞ্জের শিবপাশায় প্রতিপক্ষ লোকজনদের হামলায় এক ব্যক্তির পঙ্গু হওয়াসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার ঘটনার মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান লিটনসহ দুই আসামিকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান লিটনসহ দুই আসামি হাজির হলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় আড়াই মাস পূর্বে শিবপাশা গ্রামের যশকেশরী মহল্লায় তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে নবিন মিয়া নামে এক যুবককে পিঠিয়ে আহত করে মাহমুদুল হাসান লিটনের লোকজন। পরবর্তীতে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিকেরও উপরে আহত হয়। আহতদের মধ্যে জিয়াউর রহমান, রিকন আক্তার ও ইূদু মিয়াসহ তাদের পক্ষের ৪০ জনেরও অধিক লোককে আহত করে লিটন ও তার লোকজন। হামলাকারীরা নবীনের ভাই জিয়াউর রহমানের একটি পায়ে রামদা দিয়ে কূপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে সব রগ কেটে ফেলে। পরে সিলেট ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জিয়াউর রহমানের একটি পা কেটে ফেলা হয়। পঙ্গু হওয়াসহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজনের আহতের ঘটনায় মাহমুদুল হাসান লিটনকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়? মামলা দায়েরের পর থেকে মাহমুদুল হাসান লিটন দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। পরে হাইকোর্ট থেকে কয়েক সপ্তাহের অগ্রিম জামিনে ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন চেয়ায়ম্যান সহ বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধা নেওয়া শিবপাশা গ্রামের যশকেশরী মহল্লারমাহমুদুল হাসান লিটন সরকার পতনের পরই নিজেকে যুবদল নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করে চালিয়ে যাচ্ছেন। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী তফছির মিয়ার পক্ষে ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন মিয়ার পক্ষে নির্বাচনে প্রকাশ্যেই কাজ করেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরই নিজেকে যুবদল নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের সভা সহ বড় বড় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রচার করে যাচ্ছেন তিনি। বিএনপির ব্যানারে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা চালালেও তার রং পাল্টানোর ভূমিকা নিয়ে এলাকায় সর্বত্র আলোচনা চলছে।