স্টাফ রিপোর্টার ॥
চুনারুঘাটে বন বিভাগের জব্দকৃত বনজ দ্রব্যের প্রকাশ্য নিলাম কার্যক্রম চলাকালে বন কর্মকর্তার ওপর হামলা, নিলাম প্রক্রিয়ায় বাঁধা ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ডেপুটি রেঞ্জার সৈয়দ আশিক আহমেদের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা শ্রমিকদলের আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম খান (৪৫) ও মো. সাইফুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে চুনারুঘাট থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মামলাটি রুজু করা হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী গত ৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে শায়েস্তাগঞ্জ, কালেঙ্গা ও রঘুনন্দন রেঞ্জের জব্দকৃত বনজ দ্রব্যের প্রকাশ্য নিলাম চুনারুঘাট সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) কার্যালয় প্রাঙ্গণে শুরু হয়। সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন ডেপুটি রেঞ্জার সৈয়দ আশিক আহমেদসহ বন বিভাগের কর্মকর্তারা। সকাল প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে আইতন গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলম খান ও আমরোড এলাকার মো. সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন নিলামস্থলে এসে হট্টগোল শুরু করেন এবং নিলাম কার্যক্রমে বাধা দেন।
পরি¯ি’তি শান্ত করার চেষ্টা করলে জাহাঙ্গীর আলম ডেপুটি রেঞ্জারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং দাঁত ভাঙার হুমকি দেন। এ সময় সাইফুল ইসলাম তাঁর ওপর এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন। এতে কর্মকর্তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত প্রাপ্ত হয়। আরো উল্লেখ করা হয়, হামলার একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর আলম ডেপুটি রেঞ্জারের প্যান্টের পকেটে থাকা ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার আগে নিলাম কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় এবং মামলা করলে খুন করে ফেলার হুমকিও দেয়।
স্থানীয়দের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে কথা বললে প্রাণনাশের ভয় থাকে। বন থেকে গাছ কাটা তোলা সব কিছুতেই তার লোকজন জড়িত। ঘটনার পর আহত ডেপুটি রেঞ্জার আশিক আহমেদ চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। পরে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এ ঘটনায় ওই এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।