বাহুবলে টু মার্ডারের পলাতক আসামীকে ধরেও আটক রাখতে পারেনি পুলিশ ফিল্মী স্টাইলে ছিনিয়ে নিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান কাদির
তারিখ: ২৮-ফেব্রুয়ারী-২০১৩
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবলে টু-মার্ডারের
পলাতক আসামীকে
ধরেও আটক
করে রাখতে
পারেনি পুলিশ।
ফিল্মী স্টাইলে
উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তার সামনে থেকে আসামী ছিনিয়ে
নিয়ে গেলেন
উপজেলা চেয়ারম্যান
আব্দুল কাদির
চৌধুরী। ঘটনাটি
ঘটেছে- গতকাল
বুধবার সকাল
১১টায় বাহুবল
উপজেলার বাগান
বাড়ি এলাকায়।
ঘটনার সুত্রে
জানা যায়,
বিগত ২০০৯
সালে বাহুবল
উপজেলার হাজিপুর
গ্রামের খুর্শেদ
আলী হত্যা
মামলায় একই
উপজেলার চন্দনিয়া
গ্রামের সাবেক
মেম্বার জৈনুল্লাকে
৪নং আসামী
করে (এডিশনাল
জি আর
মামলা-৪৯/০৯) বাহুবল
থানায় মামলা
হয়। এর
আগে তার
বিরুদ্ধে সাহেব
আলী বাদী
হয়ে জয়ফুল
নেছা হত্যা
মামলা দায়ের
করলে সেই
মামলায় দীর্ঘদিন
কারাভোগের পর জামিনে বেরিয়ে আসে।
গতকাল বুধবার
সকাল ১০টায়
খুর্শেদ হত্যা
মামলার পলাতক
আসামী জৈনুল্লাকে
স'ানীয়
মহাশয় বাজারের
রেল লাইনের
কাছ থেকে
বাহুবল মডেল
থানার এএসআই
পান্না দে
আটক করে।
বাহুবল থানায়
নিয়ে আসার
পথে বাগান
বাড়ি এলাকায়
পৌঁছুলে উপজেলা
চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির চৌধুরী আসামী
জৈনুল্লাকে ছিনিয়ে নেন। এ ব্যাপারে
বাহুবল মডেল
থানার এএসআই
পান্না দে’র সঙ্গে
যোগাযোগ করা
হলে তিনি
বলেন- “আমার
কিছু করার
নেই। উপজেলা
চেয়ারম্যান আমার প্রতি রাগান্বিত হয়ে
অকথ্য ভাষায়
গালিগালাজ করে ইউএনওর সামন থেকে
আসামী জৈনুল্লাকে
জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন।” এ
বিষয়ে উপজেলা
নির্বাহী অফিসার
হুমায়ুন কবিরের
সঙ্গে যোগাযোগ
করা হলে
তিনি বলেন-
“হত্যা মামলার
আসামী ধরা
পড়েছে শুনেছি।
আমি ও
উপজেলা চেয়ারম্যান
একই গাড়িতে
ছিলাম। আমি
উনাকে বাগান
বাড়িতে নামিয়ে
দিয়ে চলে
আসি। পরে
কি হয়েছে
জানি না।”
এ ব্যাপারে
বাহুবল মডেল
থানার ওসি
জালাল উদ্দিন
ভূইয়ার সঙ্গে
যোগাযোগ করলে
তিনি বলেন,
“আসামী জৈনুল্লা
একটি নন
জি আর
(মামলা নং-১০৭/১১৭)
মামলার আসামী।
কোর্টে হাজির
হলে জামিন
হবে বিধায়
উপজেলা চেয়ারম্যান
কোর্টে হাজির
করার শর্তে
আসামীকে নিয়ে
যান।” অপর
দিকে খুর্শেদ
হত্যা মামলার
বাদী হাবিবুর
রহমানের চাচা
সালাম বলেন,
“দারোগাকে সাথে নিয়ে আমি আসামী
ধরে নিয়ে
আসি। কিন'
পুলিশ কি
কারণে ছেড়ে
দিল, সেটা
বুঝতে পারছি
না। একটি
নয়, দুইটি
হত্যা মামলার
আসামী কিভাবে
ছেড়ে দিল
পুলিশ?”