জানা যায়, দীর্ঘ আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে কারাগারে আটক আন-র্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মোফাচ্ছিরে কোরআন, সাবেক সংসদ সদস্য ও জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আল্লামা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার রায় হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। তার রায়কে ঘিরে দেশজুড়ে বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে রায় শুনার জন্য। একদিকে জামাত চাচ্ছে তার নিঃশর্ত মুক্তি। অপরদিকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সমর্থকরা চাচ্ছেন ফাঁসি। শেষ পর্যন- কি হয়, ফাঁসি ন যাবজ্জীবন, তাই এখন দেখার বিষয়। কারণ, আটক সকল যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে সাঈদীর রায়টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে, মহানবী (সঃ)-এর অবমাননার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ শহরে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও মসজিদ সমন্বয় সুন্নী সংগ্রাম পরিষদের পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ মিছিলও অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত রবিবার একই দাবীতে সমমনা ইসলামী ১২ দলের হরতালে ইসলামী সংগ্রাম পরিষদ বিক্ষোভ মিছিল বের করতে চাইলে অপ্রীতিকর পরিসি'তির আশংকায় সমঝোতার ভিত্তিতে মিছিলটি ১ দিন পিছিয়ে পরের দিন করা হয়। আজ জামায়াতের হরতাল ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের উদ্যোগে মহানবী (সঃ) এর অবমাননার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি একই দিনে হওয়ায় জামায়াত বাড়তি সুবিধা পায় কিনা এ নিয়ে বিভ্রানি-র সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে, হবিগঞ্জ জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আলহাজ্ব গোলাম সরওয়ার বলেন, “একই দিনে জামায়াতের হরতাল ও আমাদের বিক্ষোভ মিছিলের বিষয়টি কাকতালীয়। তবে আমাদের বিক্ষোভ মিছিলটি ছিল পূর্বঘোষিত”। তিনি বলেন, “জামায়াতের দাবি ও আমাদের প্রতিবাদ সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। দু’টোকে এক করে দেখার কোন সুযোগ নেই। আমাদের অবস'ান পরিষ্কার, আমরাও প্রকৃত সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। পাশাপাশি মহানবী (সঃ)-এর অবমাননাকারী নাসি-ক ব্লগারদেরও ফাঁসি চাই।” প্রায় একই কথা বলেছেন, মসজিদ সমন্বয় সুন্নী সংগ্রাম পরিষদের সেক্রেটারি মাওলানা কাজী এম এ জলিল।