বানিয়াচংয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী রূপকের পথসভায় ছাত্রদল-যুবদলের হামলা ॥ রূপকসহ আহত ৫ ॥ জাপা কর্মী আনছার আটক ॥ অতঃপর মুক্তি
তারিখ: ২২-ডিসেম্বর-২০১৩
তৌহিদুর রহমান পলাশ, বানিয়াচং ॥

হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দৈনিক আমাদের সময়’র বিশেষ প্রতিনিধি আফসার আহমেদ রূপকের নির্বাচনী পথসভায় যুবদল ও ছাত্রদলের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আফসার আহমেদ রূপকসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ জড়িত সন্দেহে যুবদল নেতার ভাই জাপা কর্মী আনছার (২০) কে আটক করে। এর প্রতিবাদে জাতীয় পার্টির নেতা- কর্মীরা থানা ঘেরাও করে তার মুক্তি দাবী করে। পরে ঘটনার সাথে তার জড়িত থাকার প্রমাণ না পেয়ে গভীর রাতে তাকে মুক্তি দেয় পুলিশ। মুক্তি পাওয়ার পর আনছারকে ফুলের মালা পড়িয়ে রাত ১১টায় বড় বাজারে আনন্দ মিছিল করেছে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার বিকালে বানিয়াচং আদর্শ বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী রূপকের আনারস মার্কার সমর্থনে তার উপস্থিতিতে নির্বাচনী পথসভা চলাকালে বানিয়াচং উপজেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মিলন খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম হাবিবুর, সদস্য এসএম রেজাউল, ২নং বানিয়াচং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়ন যুবদলের প্রচার সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম আনহার, ছাত্রদল কর্মী এসএম জহিরুলসহ ১০/১২ জন নেতা-কর্মী লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিতে মঞ্চে হামলা চালায়। এসময় প্রার্থী রূপক বক্তব্য রাখছিলেন। হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে প্রার্থী রূপকসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়। এসময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বানিয়াচং থানার এসআই হাবিবসহ ৩ পুলিশ সদস্য দূরে সরে গিয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। হামলায় তাৎক্ষণিক জনসভা পণ্ড হয়ে গেলেও পরে সমর্থকরা জড়ো হয়ে বাজারে প্রতিবাদ মিছিলসহ পুনরায় জনসভা করে এবং রূপক তার অসমাপ্ত বক্তব্য শেষ করেন। এদিকে যুবদল নেতা এসএম হাবিবুরের আত্মীয়-স্বজন দাবী করেছেন তিনি ঘটনার সময় হাওরে চাষাবাদের কাজে ছিলেন। তাই ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ঘটনার পর বানিয়াচং থানার ওসি সামসুল আরেফিনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবদল নেতা আনহারের ছোট ভাই জাপা কর্মী আনছারকে গ্রেফতার করে। এছাড়া হবিগঞ্জ থেকে ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে রাত সাড়ে ১১টায় তাকে নির্দোষ প্রমাণ পেয়ে মুক্তি দেয়া হয়। মুক্তি পাওয়ার পর রাতেই আনছারকে মালা পড়িয়ে বড় বাজারে আনন্দ মিছিল করে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি বাজার প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনার সংলগ্ন পাঁচ রাস্তার মোড়ে পথসভায় মিলিত হয়। উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি গৌরাঙ্গ সরকারের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক আঙ্গুর মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পথসভায় বক্তব্য রাখেন জাপা নেতা আইউব আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির আহবায়ক হারুন রশিদ, জেলা যুব সংহতির সদস্য পিয়ানুর আহমেদ হাসান, নাসিম আহমেদ জামাল, উপজেলা যুবসংহতির নেতা ছিদ্দিক আলী প্রমূখ। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এই জনসভার প্রচার মাইকিংকালে গ্যানিংগঞ্জ বাজারে জনাব আলী ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল আহমেদের নেতৃত্বে একদল ছাত্রদল নেতা-কর্মী হামলা চালিয়ে মাইক ও রিকশা ভাঙচুরসহ প্রচারম্যান আজিজুর ও রিকশা চালক আব্দুল আহাদকে মারধোর করে।

প্রথম পাতা