সদর উপজেলার রায়ধর-বড়ইউড়ি তেমুনিয়ায় এপিপি এডভোকেট আবুল কালামের ঈদ শুভেচ্ছা সম্বলিত ফেস্টুন ছিড়ে ফেলায় তাৎক্ষনিকভাবে প্রতিবাদ সভা করেছে এলাকাবাসী। গত সোমবার দিবাগত রাতে কে বা কারা উল্লেখিত স্থানে দুটি গাছে কয়েকটি ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে। পরদিন মঙ্গলবার বিষয়টি এলাকাবাসী জানতে পারলে প্রায় ৫ শতাধিক নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গোপায়া ইউপির ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল হামিদ ও পরিচালনা করেন মোঃ রজব আলী মেম্বার।
এতে বক্তব্য রাখেন, গোপায়া ইউপির সাবেক মেম্বার ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন, ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক মেম্বার তৈয়ব আলী, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সাবেক মেম্বার মোঃ জিতু মিয়া, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহীদ মিয়া, সদর উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন মোঃ আক্তার, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল ছায়েদ, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ জালাল মিয়া, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম, আনন্দপুর গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি ও সর্দার মোঃ কাজল মিয়া, দীঘলবাগ গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি আব্দুল হামিদ, বড়ইউড়ি গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ জাফর মিয়া, মোঃ ফরিদ মিয়া, শাহিন মিয়া, জিয়ার মিয়া, নারায়নপুর গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম, আলাপুর গ্রামের মোজাহিদ মিয়াসহ আরো অনেকে।
বক্তাগণ বলেন, এপিপি এডভোকেট মোঃ আবুল কালামের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষরা রাতের আধারে তার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে। বক্তাগণ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একইসাথে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে এপিপি এডভোকেট আবুল কালামকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এদিকে, সভায় এপিপি এডভোকেট মোঃ আবুল কালাম তাৎক্ষনিকভাবে জনসভা আয়োজন করায় এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘হবিগঞ্জের গণমানুষের প্রিয় নেতা আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপির সান্নিধ্যে থেকে পরম শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও উন্নয়ন দিয়ে গোপায়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ে ঠাই করে নিতে চাই। ফেস্টুন ছিড়ে আমাকে কেউ জনগণের হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে পারবে না, আমি আজীবন গোপায়া ইউনিয়নবাসীর সুখে-দুঃেখে পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি।’