বাহুবলে এসিডদগ্ধ তাহমিনার “স্বপ্নঘর” উদ্বোধন করলেন এমপি কেয়া চৌধুরী
তারিখ: ২৯-নভেম্বর-২০১৫
স্টাফ রিপোর্টার ॥

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার জয়রামপুর গ্রামে দৈনিক প্রথমআলোর সহায়ক তহবিলের অর্থায়নে নির্মিত এসিডদগ্ধ তাহমিনার স্বপ্নঘর উদ্বোধন করলেন এমপি কেয়া চৌধুরী। গতকাল শনিবার বিকেলে ফিতা কেটে তিনি এ ঘর উদ্বোধন করেন। এ সময় দৈনিক প্রথমআলোর সহায়ক তহবিল ট্রাস্টের ব্যবস্থাপক ফেরদৌস ফয়সাল, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান নিয়ন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম, এসিডদগ্ধ তাহমিনা আক্তারসহ এলাকার শত শত লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এরপূর্বে এসিডদগ্ধ নারীদের পুর্নবাসন ও সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে হবিগঞ্জ-সিলেট মহিলা আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী বলেন, তাহমিনা আর অসহায় নয়। তার পাশে আমরা রয়েছি। তাকে এসিড ছুঁড়ে দগ্ধ করেছে পাষন্ড সারাজ। আমি এ খবর পেয়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ওয়ানস্টপ ক্রাইসেস সেন্টার ঢাকার বার্ণইউনিটে বিনামূলে চিকিৎসা ব্যবস্থা করেছিলাম। পরে বিষয়টি প্রথমআলোকে পত্রিকা’কে অবগত করেছি। প্রথমআলো কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে তাহমিনাকে সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছি। পরে তাহমিনাকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে প্রথমআলোর তহবিল থেকে ৬০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা করা হয়। এ টাকায় তাহমিনার স্বপ্নঘর নির্মিত হয়েছে। এমপি কেয়া চৌধুরী বলেন, এ ঘরে বসে কাজ করে স্বাবলম্বী হতে আমি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হামিনার উপহার হিসেবে ৩টি সেলাই মেশিন ও নগদ ৫ হাজার হাজার টাকা এনে দিয়েছি। এসব মেশিন দিয়ে তাহমিনা নিজে শুধু স্বাবলম্বী হবে না। মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সমিতি প্রতিষ্ঠা করে তা নিবন্ধন করে দিয়েছেন। যা এলাকার বেকার নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। তিনি তাহমিনার পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রথমআলোকে ধন্যবাদ জানান। তার সাথে এসিড নিক্ষেপকারীর দূষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১১ মার্চ সারাজ নামে পাষন্ড হবিগঞ্জ সদর উপজেলার জয়রামপুরের বাসিন্দা তাহমিনাকে এসিড ছুঁড়ে মারে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। এমপি কেয়া চৌধুরীর সার্বিক সহযোগীতায় সে সুস্থ হয়। এ ব্যাপারে মামলা হলে এসিড নিক্ষেপকারী সারাজ হাজতবাস করেন।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা