জলাশয় থেকে মাছ লুটপাটের অভিযোগ ॥ বানিয়াচংয়ের বাগহাতা গ্রামে মামলা করেও প্রতিকার পাচ্ছে না এক ব্যক্তি
তারিখ: ৭-ডিসেম্বর-২০১৬
স্টাফ রিপোর্টার ॥

বানিয়াচং উপজেলার বাগহাতা গ্রামে মামলা করেও প্রতিকার পাচ্ছে না তাজু মিয়া নামের এক ব্যক্তি। উপরন্তু আসামীরা জোরপুর্বক তার জলমহালের মাছ চুরি করে তাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত আব্দুল্লাহ মিয়ার পুত্র তাজু মিয়া তার জলমহালটি সিলেট বিভাগীয় কমিশনার নিকট থেকে লীজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন। কিন্তু একই উপজেলার চমকপুর গ্রামের ইসমাইল মিয়া, মুসলিমপুর গ্রামের আরজত আলীর পুত্র সাদত মিয়াসহ আসামীরা ইজারা সত্তেও দখলীয় জলাশয়ে মৎস্য সম্পদ দখলে নিতে ষড়যন্ত্র করে তাজু মিয়ার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ২টি রীট পিটিশন করে। সেগুলো আদালত খারিজ করে দেন। এরপর তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। প্রতিকার চেয়ে তাজু মিয়া সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আবেদন করেন। বিভাগীয় কমিশনার বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসি এবং নবীগঞ্জ থানার ওসি ও ইউএনওকে লীজকৃত জলাশয়ে নির্বিঘেœ মাছ আহরণ করতে পারেন সে জন্য তাকে সকল ধরণের আইনি সহযোগিতার নির্দেশ দেন। কিন্তু আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাজু মিয়ার লোকদেরকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে তার জলাশয়ের খলার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং ঘরটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। এ ব্যাপারে তাজু মিয়া ১৪ নভেম্বর ইসমাইল ও সাদতসহ ১৪ জনকে আসামী করে মামলা করলে মামলাটি এফআইআর গণ্যে রুজু হয়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে না যাওয়ায় এবং লুন্টিত মালামাল উদ্ধার না করায় আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে। এবং বাদি ও তার লোকজনকে একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় বাদি নিরূপায় হয়ে গত ২৭ নভেম্বর এডিএম কোর্টে উক্ত জলাশয়ে ১৪৪ ধারা জারির জন্য মামলা করেন। মামলায় ইসমাইল ও সাদতসহ অন্যান্য আসামীদের অভিযুক্ত করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত আসামীদের কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেন। এরপরও তারা ক্ষান্ত হয়নি। বাদির জলাশয় থেকে জোরপুর্বক মাছ ধরে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বাদি ও তার লোকজনের জান ও মালের নিরাপত্তা চেয়ে উক্ত ব্যক্তিদের আসামী করে ১০৭ ধারার একটি মামলা করেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বাদির লোকদেরকে মারপিট করে জলাশয়ের মাছ জোরপুর্বক ধরে নিয়ে যায় এবং আরেকটি খলা ঘর ভেঙ্গে ফেলে। তাদের ভয়ে বাদি তাজু মিয়া ও তার লোকজন জলাশয়ে যেতে পারছেন না।

শেষ পাতা