রাঢ়িশাল করাব উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সমঝোতা নির্বাচনে পরাজিত ৩ প্রার্থীর বিশৃংখলা সৃষ্টির অভিযোগ
তারিখ: ১৭-মে-২০১৭
স্টাফ রিপোর্টার ॥

লাখাই উপজেলার রাঢ়িশাল করাব উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সমঝোতা নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ৩ অভিভাবক সদস্য প্রার্থী বিশৃংখলা সৃষ্টি পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সূত্র জানায়, আগামী ২৩ মে রাঢ়িশাল করাব উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের তারিখ নিধারণ করা হয়। এর মধ্যে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য ৯জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদেরকে নির্বাচন কমিশন বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা করেন। বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আব্দুল মালেক আক্তার, ডাঃ মাহবুবুর রহমান, মোঃ আব্দুল মালেক, মোঃ আব্দুল মোতালিব, মোঃ আব্দুস শহীদ চৌধুরী, মোঃ জুয়েল রানা, মোঃ ভিংরাজ মিয়া, শাহিনুর ইসলাম ও মাওলানা রইছ মিয়া। পরে প্রার্থীরা ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ইউপি সদস্যদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্বাচন না করে সমঝোতা মাধ্যমে কমিটি গঠন করার সিন্ধান্ত নেয়া হয়। লক্ষে গত ১৫ মে  রাত ৯টার দিকে ৯ প্রার্থী ও এলাকাবাসী আলোচনায় বসে প্রার্থীদের মধ্যে ভোটাভুটি সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রার্থীরা তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার ফরমে সমঝোতা নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনার করাব ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল কদ্দুছ, সহকারি কমিশনার আওয়ামীলীগ নেতা খলিলুর রহমান, ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া, ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন, সাবেক ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান, রেজাউল করিম, শামীম, শাহেদুল ইসলাম, বুল্লা বাজারের ব্যবসায়ী নওয়াব আলীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে স্বাক্ষর করেন। পরে ওই দিন রাত ১০টা দিকে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থী ৪টি করে মোট ৩৬টি ভোট প্রদান করেন। এতে করাব ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুয়েল রানা  ৬ ভোট, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক ৬ ভোট, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ শাহিনুর ইসলাম ৫ভোট নির্বাচিত হন। নির্বাচনে ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ভিংরাজ মিয়া ৪ ভোট ও মাওলানা রইছ মিয়া ৪ ভোট পেয়ে সমান অবস্থানে থাকলে পরবর্তীতে মাওলানা রইছ মিয়া ভিংরাজ মিয়াকে সমর্থন করেন। এতে ৪জন সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়াও সমঝোতার নির্বাচনে পরাজিত অপর প্রার্থী ডাঃ মাহবুবুর রহমান ৩ ভোট, আব্দুল মোতালিব ৩ ভোট, আব্দুস শহীদ চৌধুরী ৩ ভোট ও আব্দুল মালেক আক্তার ২ ভোট পান। কিন্তু নির্বাচনে ডাঃ মাহবুবুর রহমান, আব্দুল মোতালিব, আব্দুস শহীদ চৌধুরী পরাজিত হওয়ার পর থেকে বিশৃংখলা সৃষ্টি করার জন্য নানা পায়তারা শুরু করেছেন। এতে যে কোন সময় এলাকায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা আশংকা রয়েছে।

প্রথম পাতা