সুরাবই গ্রামে হাতুড়ি ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায়এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু
তারিখ: ১৭-মে-২০১৭
রায়হান আহমেদ মুন্না ॥

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুরাবই গ্রামে এক হাতুড়ি ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায়সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র আকাশ মিয়া(১৩) মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আকাশ মিয়া শায়েস্তাগঞ্জ থানাধীন নূরপুর ইউনিয়নের সুরাবই (মোকামবাড়ি) গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০দিন আগে দাঁতের ব্যাথার জন্য সুতাং বাজারের ব্রীজ সংলগ্ন স্থানীয় ডাক্তার বিলাল হোসেনের কাছে যাওয়া হয়। তখন বিলাল ডাক্তার দাঁত উপড়ে ফেলার জন্য বলে এবং দাঁত ফেলে দেয়। তখন থেকেই উঠানো দাঁতের জায়গা থেকে প্রচন্ড রক্তপাত শুরু হয়। প্রশ্ন উঠে বিলাল ডাক্তার “দাঁতের ডাক্তার নয়”তাহলে সে কিভাবে ১৩ বছরের একটি ছেলের দাঁত পালায়? পরের দিন যখন রক্ত বন্ধ হচ্ছে না তখন আকাশের বাবা হবিগঞ্জে এক দন্ত চিকিৎসকেরকাছে নিয়ে যায়। হবিগঞ্জের ডাক্তার আকাশ মিয়াকে সিলেট প্রেরণ করেন। সিলেট রাগীব আলী মেডিকে কলেজ হাসপাতালে ৪/৫ দিন থাকার পর কর্তব্যরত ডাক্তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুণরায় প্রেরণ করেন সেখানে ৩ দিন থাকার পর গত সোমবার বাড়িতে আসলে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে সে নিজ বাড়িতে মারা যায়। স্থানীয়রা জানান, হাজী আফরাজ আলী হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র আকাশ মিয়ার মৃত্যুতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের ঘটনা ঘটেছে। এমনকি সুতাং শাহজিবাজারে হাতুড়ি ডাক্তারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে এদের অপচিকিৎসাও ভুল প্রেসক্রিপশনে মৃত্যুর সংখ্যা ও দিনদিন বাড়তে শুরু করেছে। এ নিয়ে সাধারণ রোগীরা চিকিৎসাবা চিকিৎসালয়েরউপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে। চিকিৎসকও চিকিৎসালয়সাধারণ মানুষের কাছে আতংক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক রোগীরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে সুচিকিৎসারজন্য চিকিৎসকদেরদারস্থ হয়ে থাকে। এদিকে গতকাল বিকেলে নিহত আকাশের লাশ ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন পুলিশ।

এ ব্যাপারে ডাক্তার বিলালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি আকাশের দাঁত পালাইনি, আমি তাকে কয়েকটা ব্যথার ঔষধ দিয়ে বলছি হবিগঞ্জে যাওয়ার জন্য। আকাশের পরিবার শায়েস্তাগঞ্জ থানায় ৫৮৪ নাম্বারে একটি জিডি দায়ের করেছেন।

প্রথম পাতা