খাল পুণঃখনন প্রকল্পের টাকা আত্মসাত ও ভিজিএফ এর কার্ড বিতরণে অনিয়ম ॥ বানিয়াচঙ্গের কাগাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদ এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
তারিখ: ২৯-মে-২০১৭
জাকারিয়া চৌধুরী ॥

বানিয়াচং উপজেলার ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এরশাদ আলী ও তার সহযোগী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিবেকানন্দ দাসসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সিকান্দরপুর-কুলারখাল পুণঃ খনন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ ও ভিজিএফ’র কার্ড বিরতরণের অনিয়ম করেছে বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয় এলাকাবাসি। এ ব্যাপারে যাথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করতে এলজিইডিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, ইউনিয়নের সিকান্দরপুর কুলারখাল পুণঃ খননের জন্য উভয় গ্রামের ময়-মুরুব্বিয়ানদের নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পঞ্চায়েতের ওই বৈঠকে কিভাবে খাল পুণঃ খনন করা হবে তার একটি রুপরেখা নিয়েও আলোচনা করা হয়। এর ফলশ্র“তিতে এলাকাবাসির ধারণা হয়েছিল এলাকাবাসিকে সাথে নিয়ে এলসিএস কমিটি শ্রীঘ্রই আত্মপ্রকাশ হবে এবং এলাকার শ্রমজীবি মানুষের উপকারের পাশাপাশি গুগড়াপুর ও সিকান্দরপুর গ্রামের কুলার খাল পুণঃ খননের কাজ কাজ শুরু হবে। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই পাল্টে যায় এলসিএস কমিটি গঠনকল্পের চিত্র। ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদ আলী ও যুবলীগ নেতা বিবেকানন্দ দাস তাদের ইচ্ছা মত দুটি এলসিএস কমিটি গঠন করে। এর একটি’র সভাপতি হন চেয়ারম্যানের অন্যতম সহযোগী যুবলীগ নেতা বিবেকানন্দ দাস ও অপর আরেকটি কমিটির সভাপতি করা হয় রিংকু দাসকে। চেয়ারম্যান তাদের ইচ্ছেমত ওই কমিটি গুলো গঠন করে এবং কমিটি থেকে এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বিয়ানদের বাদ দেওয়া হয়। যাতে করে দুর্নীতি করার অভিপ্রায় ঘটে। গুগরাপুর ও সিকান্দরপুর কুলার খাল পুণঃ খননের ক্ষেত্রে কোন প্রকল্প হলে সেটার নাম স্বাভাবিক ভাবেই হওয়া উচিত গুগরাপুর –সিকান্দরপুর কুলার খাল পুণঃ খনন প্রকল্প বা সিকান্দরপুর গুগরাপুর কুলার খাল পুণঃ খনন প্রকল্প। কিন্তু বাস্তাবে দেখা যায় প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে সিকান্দরপুর কুলার খাল পুণঃ খনন প্রকল্প। আর্থাৎপ্রকল্পের নামটি পর্যন্ত সঠিক ভাবে দেয়া হয়নি। সর্বশেষ খাল পুণঃ খননের জন্য কাজ শুরু করার উদ্দেশ্যে খালে মেশিন নিয়া স্থাপন করা হলে আগাম বন্যার কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। অথচ দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান এরশাদ আলী ও বিবেকানন্দসহ তাদের লোকজন এলজিইডি অফিস থেকে লাখ লাখ টাকার বিল চেকের মাধ্যমে উঠাইয়া নিয়ে সরকারী টাকা আত্মসাত করে।

এছাড়াও আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ভিজিএফ এর কার্ড ও খাদ্যশস্যাদি বিতরণেও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ খাল পুণঃ খনন এর ঘটনায় যারা ন্যায্য অধিকার নিয়ে আলোচনা করেছে তাদেরসহ স্থানীয় গরীব দুঃস্থদেরই তিনি ত্রাণ দেননি। তাই এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করতে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে এলাকাবাসি।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা