চুনারুঘাটে শীঘ্রই ইকোনমিক জোনের কাজ শুরু হবে-এমপি মাহবুব আলী
তারিখ: ১৭-অগাস্ট-২০১৭
চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥

চুনারুঘাটে প্রস্তাবিত ইকোনমিক জোন স্থাপিত হলে বদলে যাবে হবিগঞ্জ জেলার চিত্র। এতে কর্মসংস্থান হবে কমপক্ষে এক লাখ নারী-পুরুষের। চুনারুঘাট হবে বাংলাদেশের অন্যতম একটি উপজেলা। এখানে অর্থনৈতিক জোন স্থাপিত হলে ১৮টি চা বাগানের শ্রমিকসহ অর্ধ লক্ষাধিক বেকারদের কর্ম সংস্থান থাকবে হাতের নাগালে। ওই অঞ্চলের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতির বড় এক সম্ভাবনা যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য এডভোকেট মাহবুব আলী ইকোনমিক জোন স্থাপনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন এবং মহান জাতীয় সংসদে চুনারুঘাটে ইকোনমিক জোন স্থাপনের জন্য বক্তব্য রেখেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে চুনারুঘাট-মাধবপুরবাসীর পক্ষে দাবী জানিয়েছেন। গ্যাস-বিদ্যুতের সহজলভ্যতা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় চুনারুঘাট উপজেলার চান্দপুর টিজি মৌজায় সরকারি ৫১১একর খাস জমিতে ২০১৪ সালে 'হবিগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল' গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই অঞ্চল গড়ে তোলার আরেকটি কারণ ছিল চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন। সরকারি ওই ভূমিতে হবিগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীনের স্পেশাল ইকনোমিক জোন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের তৎকালীন নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং সচিব ফখরুল ইসলাম ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে স্থানটি পরিদর্শন করে সেখানে জোন প্রতিষ্ঠার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যুগ্মসচিব ও বেজা চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী ওই বছরের মার্চ মাসে চুনারুঘাটের চা বাগানসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ বিষয়ে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের এমপি এডভোকেট মাহবুব আলী বলেন, বিশেষ ইকনোমিক জোনে কোরিয়া, জাপান ও চীনের বিভিন্ন কোম্পানির বিনিয়োগ করার কথা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জোনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে শীঘ্রই কাজ শুরু করবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক জোন অথরিটি (বেজা)। শীঘ্রই চুনারুঘাটে ইকোনমিক জোনের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন (চুনারুঘাট-মাধবপুর) এমপি এডভোকেট মাহবুব আলী। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে তৎকালীন জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম বেজা চেয়ারম্যানের নামে ৫১১একর জমি কবুলিয়াতনামা রেজিস্ট্রি করে দেন। এরই মধ্যে বেশ কয়েক বার জেলা প্রশাসক ও বেজা চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী চা শ্রমিকসহ স্থানীয় সুধীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ২০১৬ সালের প্রথম দিকে জোনের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। সারা বাংলাদেশে ১’শ টি প্রস্তাবিত ইকোনমিক জোনের মধ্যে ১০টি ইকোনমিক জোনের কাজ শুরু হয়েছে।

প্রথম পাতা