পৌর মেয়র জি কে গউছের হাজিরা ॥ আবারো পিছিয়েছে কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ
তারিখ: ১৭-অগাস্ট-২০১৭
স্টাফ রিপোর্টার ॥

সাক্ষী এবং সকল আসামী উপস্থিত না হওয়ায় আবারও পিছিয়েছে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ। এ নিয়ে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ ১১ বার পেছানো হয়েছে। সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন আগামী ৩০ অক্টোবর। এদিকে গতকাল বুধবার মামলার নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজিরা দিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এই দুই মেয়র উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারী হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সময় মেয়র জি কে গউছ ছিলেন সৌদি আরবে। ২০০৫ সালের ৬ জানুয়ারী থেকে ৯ ফেব্র“য়ারী পর্যন্ত তার বৃদ্ধ পিতাকে নিয়ে তিনি পবিত্র হজ্জব্রত পালনে ছিলেন। এতেও রক্ষা হয়নি তার। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর দাখিলকৃত ৩য় দফা সম্পূরক চার্জশীটে মেয়র জি কে গউছকে আসামী করা হয়। ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশীট গৃহীত হলে ২৮ ডিসেম্বর স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পন করেন মেয়র জি কে গউছ। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। হবিগঞ্জ কারাগারে থাকাকালীন সময়ে মামলার কোন তারিখেই জি কে গউছকে আদালতে হাজির করা হয়নি। হবিগঞ্জ কারাগারে থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালের ১৮ জুলাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন জি কে গউছের উপর হামলা করে একাধিক হত্যা মামলার এক আসামী। কারা অভ্যান্তরে ঈদের নামাজ শেষে নিজ কক্ষে যাওয়ার পথে ইলিয়াছ নামের এই সন্ত্রাসী লোহাড় রড জি কে গউছকে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে ওই দিনই নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা শেষে পাঠিয়ে দেয়া হয় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে। ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারী ৭শ ৩৯ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান মেয়র জি কে গউছ।

প্রথম পাতা