১০৭ ধারার মামলায় আটক আসামীকে ধর্ষনের মামলায় গ্রেফতার না দেখানোর অভিযোগ
তারিখ: ১৭-অগাস্ট-২০১৭
স্টাফ রিপোর্টার ॥

ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭ ধারায় দায়ের করা মামলায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত থেকে বামকান্দি গ্রামের বাচ্চু মিয়াসহ ৮জনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয় কয়েকদিন আগে। একই আসামীর বিরুদ্ধে আলোচিত একটি ধর্ষন মামলাও রয়েছে। পুলিশ গত মঙ্গলবার রাতে বাচ্চু মিয়াকে গ্রেফতার করে। তাকে চালান দেয়া হয় ১০৭ ধারার মামলায়। ফলে বিকালেই বাচ্চু মিয়া ছাড়া পেয়ে যায়। ধর্ষন মামলার বাদী অভিযোগ করেছেন-তিনি বাচ্চু মিয়াকে ধর্ষন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে চালান দিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা সুমন হাজরার কাছে গিয়ে অনুনয় বিনয় করলেও বাচ্চু মিয়াকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি। মামলার বিবরনে জানা যায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বামকান্দি গ্রামের সালেহা খাতুন বাদী হয়ে একই গ্রামের বাচ্চু মিয়ার বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গত ২৪ মে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। মামলাটি এফআাইআর গন্যে রুজু করতে নির্দেশ দেয়া হলে হবিগঞ্জ সদর থানা কর্তৃপক্ষ সেটি এফআইআর করে। জিআর মামলা নং ১৯৯/১৭। নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করায় সালেহা খাতুনকে হত্যার চেষ্টা করে বাচ্চু মিয়া ও তার লোকজন। নিজের জানের নিরাপত্তা চেয়ে গত ৬ জুন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বাচ্চু মিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। মিস মামলা নং ৬০৬/১৭। এই মামলায় ৮ আসামীর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে ১০৭ ধারায় দায়েরকৃত মামলায় এসআই মনিরুজ্জামান, এসআই সাহিদ, এএসআই হরিধন, এএসআই জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাচ্চু মিয়াসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। মামলার বাদী সালেহা খাতুন জানান- বাচ্চু মিয়া গ্রেফতারের বিষয়টি তিনি তাৎক্ষনিক তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুমন হাজরাকে অবগত করেন। বুধবার সকাল থেকে বেশ কয়েকবার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে দেখা করে তিনি বাচ্চু মিয়াকে ধর্ষন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে চালান দিতে অনুরোধ জানিয়েও ব্যর্থ হন। সালেহা খাতুন জানান-একজন আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে থাকে, আর ধর্ষন মামলার আসামী অন্য মামলায় গ্রেফতার হয়ে থানা পুলিশের মাধ্যমে কোর্টে চালান হয়, কিন্তু ধর্ষন মামলায় গ্রেফতার হয় না।

প্রথম পাতা