শহরের ২নং পুলে মাদক বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
তারিখ: ১০-সেপ্টেম্বর-২০১৯
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥

হবিগঞ্জ শহরের ২নং পুলে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মাদক বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার রাতে সানাই কমিউনিটি সেন্টারে গোপায়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ ফজল মিয়ার সভাপতিত্বে ও সর্দার মোঃ শাহ আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে এলাকার কয়েক শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, মাদক কারবারিরা এলাকার সুনাম বিনষ্টের পাশাপাশি তাদের কারণে এলাকার যুব সমাজকে নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে এক অজানা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। মাদক কারবারিরা কৌশলে যুব সমাজকে তাদের অপকৌশলে ফাঁদে ফেলে নেশায় আসক্ত করে চরম ক্ষতি করতে পারে অভিভাবকদের মাঝে এ আশঙ্কা সবসময় বিরাজ করে। তাই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রাজু, আবদাল, রুবেল, জাহিরগংদেরকে সম্মিলিতভাবে আইনের সহায়তার প্রতিহত করতে সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের প্রতি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হয়। চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এলাকাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী বুলবুল চিশতী, সর্দার আব্দুল মন্নান, সর্দার মোঃ আলতাফ মিয়া, হাজী মোহাম্মদ আলী, মাস্টার শাহাবুদ্দিন খান, রফিক মিয়া, সর্দার আলফু মিয়া, মোঃ ওয়াহিদ মিয়া, তাজুল ইসলাম টেনু, আব্দুল কাদির, আব্দুল মন্নাফ, নাসির উদ্দিন, নুর আলম, নজরুল ইসলাম শামীম, ফরিদ মিয়া, সর্দার শুকুর আলী, আতর আলী, হাজী আব্দুর রহিম, আব্দুল কুদ্দুছ দুলাই প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, ইতোপূর্বে মাদক ব্যবসায়ী রাজু, আবদাল, রুবেল, জাহিরের অপকর্মের বিরুদ্ধে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমদুল হকসহ পইল, তেঘরিয়াসহ কয়েক গ্রামের স্থানীয় মুরুব্বিরা একতাবদ্ধ হয়ে তাদেরকে গ্রামছাড়া করেন। পরে তারা ধুলিয়াখালে আশ্রয় নেয়। সেখানে এসে তারা পুণরায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মুরুব্বিরা সেখান থেকেও তাদের বিতাড়িত করেন। এরপর তারা আশ্রয় নেয় পাইকপাড়ায়। সেখানের অধিবাসীরাও তাদের অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে তাদেরকে বিতাড়িত করে। পরে তারা বহুলা গ্রাম সংলগ্ন বাইপাস সড়কে সরকারি জায়গা দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস শুরু করে। সেখাতে তারা পুণরায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মুরুব্বি আতর আলী সর্দার, সর্দার এমএ মন্নানসহ স্থানীয়রা তাদেরকে ওই স্থান থেকে বিতাড়িত করতে চাইলে তারা আর মাদক ব্যবসা করবে না বলে অঙ্গীকার করলে তাদেরকে সেখানে থাকতে দেয়া হয়। কিন্তু তারা তাদের অঙ্গীকার রক্ষা না করে পুণরায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট করে চলেছে।