বানিয়াচঙ্গে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ইজিবাইক চালকদের দৌরাত্ম
তারিখ: ১০-সেপ্টেম্বর-২০১৯
বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥

নাই লাইসেন্স, তার উপরে চালকও অপ্রাপ্ত বয়স্ক। অবিশ্বাস্য হলেও এমন চালকদের হাতেই ঘুরছে বানিয়াচঙ্গের এক তৃতীয়াংশের যানবাহনের চাকা। কোনো ধরণের প্রশিক্ষণ ছাড়াই যাত্রী বোঝাই গাড়ি নিয়ে তারা ছুটছে এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে। এসব অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালকে ভরপুর বানিয়াচঙ্গের অলিগলি। চলছে তাদের  অবাধ বিচরণ। তিন চাকার যানবাহন টমটম ও অটোরিক্সা এখন ওই অল্প বয়সী শিশু-কিশোরদের দখলে। এ অবস্থায় যাত্রীদেরকে চরম আতঙ্ক মাথায় নিয়ে প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। অদক্ষ, আনাড়ি চালকদের দেখার যেন কেউ নেই। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় দিনদিন বাড়ছে এদের দৌরাতœ। ‘কার আগে কে যাবে’ যাত্রী নিয়ে এমন প্রতিযোগীতাই যেন তাদের কাছে মুখ্য বিষয়। বেপরোয়াভাবে চালানো এসব যানবাহনে বাধ্য হয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের। একদিকে, ব্যাটারি চালিত তিন চাকার গাড়ীর কারণে এলাকায় বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে। অন্যদিকে, বাড়ছে যত্রতত্র যানজট। প্রায়ই দেখা যায়, বড় বড় গাড়ীর সাথে পাল্লা দিয়ে যন্ত্রচালিত তিন চাকার যানবাহন চলছে সমান তালে। এছাড়া গ্রামীণ সড়কে অদক্ষ, অল্পবয়সী ও প্রশিক্ষণবিহীন চালকের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। কোনো রকম ভয়, দ্বিধা ছাড়াই দুরন্ত বেগে ছুটে চলছে তিন চাকার যান। পথচারীরা জানান, অদক্ষ-অল্পবয়সী চালকদের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। অনেক চালকরা আছে যারা স্কুল বাদ দিয়ে পরিবারের মুখে খাবার যোগাতে এ পেশায় নেমেছে। এসব অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও লাইসেন্স বিহীন চালকদের হাতে গাড়ি দেয়ার অপরাধে তাদের মালিকদেরও আইনের আওতায় আনা উচিত বলে মনে করেন সচেতনমহল। এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন খন্দকারের সাথে। তিনি জানান, চালকরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরণের আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছেনা। তবে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।