মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে কার্যক্রম ॥ বানিয়াচং পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটি নিয়ে অসন্তোষ
তারিখ: ১৬-সেপ্টেম্বর-২০২০
বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥

বানিয়াচংয়ে পূজা উদযাপন পরিষদের মেয়াদউত্তীর্ন কমিটি দিয়ে কার্যক্রম চালানোর কারনে সনাতন ধর্মাবলম্বী জনসাধারনের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বর্তমান কমিটির স্বেচ্ছাচারী ও সাংগঠনিক গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপের প্রতিবাদে পূজা উদযাপন পরিষদ হবিগঞ্জ জেলা বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী সাধারন মানুষজন। গতকাল মঙ্গলবার হবিগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের বরাবরে আড়াই শতাধিক মানুষের স্বাক্ষরসম্বলিত প্রতিবাদপত্রে উল্লেখ করা হয় যে, বিগত ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে বানিয়াচং পূজা উদযাপন পরিষদের ২বছর মেয়াদী কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ দেব ও মাধব দেবকে সাধারন সম্পাদক করে ৫১সদস্য বিশিস্ট কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। ওই কমিটির স্বাভাবিক মেয়াদ ছিল ২০১৯ সালের ১৪ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। বর্তমানে স্বাভাবিক মেয়াদের চেয়ে এক বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ নানান টালবাহানায় সময়ক্ষেপন করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ‘র ব্যার্থতার কারনে ১৫টি ইউনিয়নের একটি কমিটি‘রও সন্মেলন করা হয় নাই। সব কমিটিগুলোই তাদের পূর্বের কমিটি‘র নেতৃবৃন্দ গঠন করেছিলেন।

একটি সূত্রে জানা যায়, পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রিয় কমিটির করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে কমিটি গঠনের কার্যক্রম চালাতে কোন বাধা নেই। এ ব্যাপারে সনাতন ধর্মবলম্বী সাধারন মানুষ বর্তমান নেতৃবৃন্দ‘র একগুয়েমী ও স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের করনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য রনজয় দাশ বাপ্পী জানান, আমরা জেলা কমিটির সাথে প্রায় ৩/৪মাস পূর্বে যোগাযোগ করলে জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ আমাদেরকে এই বলে আশ^স্ত করেন যে, সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে কমিটি গঠনের ব্যাপারে কার্যক্রম শুরু করা হবে। কিন্তু বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ জেলা কমিটির নিকট আরও তিন মাসের সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। যা গঠনতন্ত্র বিরোধী। আমরা বর্তমান কমিটির সময়ক্ষেপন আর মেনে নিব না।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রিয়তোষ রঞ্জন দেব জানান, বর্তমান কমিটি স্বেচ্ছাচারীভাবে কমিটির মেয়াদ পার করেও পদ থেকে অব্যাহতি নিচ্ছেন না। তারা নানান টালবাহানা করে সময়ক্ষেপন করছেন। কিন্তু সনাতন ধর্মাবলম্বী সাধারন মানুষজন বিষয়টি আর মেনে নিবেনা।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নলিনী কান্ত রায় অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, আমি এখনও অভিযোগটি দেখিনি। আগে দেখি তারপর দেখা যাক কি ব্যাবস্থা নেওয়া যায়।