হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রæপ ও বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের জরুরী সভা \ আগামীকাল ডিসি ও ইউএনওর কাছে গাড়ি হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত
তারিখ: ২৮-নভেম্বর-২০২০
স্টাফ রিপোর্টার \

আজ শনিবারের মধ্যে হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ না হলে আগামীকাল রবিবার জেলা প্রশাসক ও স্বস্ব উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গাড়ি হস্তান্তর করা হবে। গতকাল শুক্রবার হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রæপের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মটর মালিক গ্রæপ সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ ফজলুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায়ের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রæপের কার্যকরি সভাপতি অ্যাডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ শফিকুর রহমান চৌধুরী, সহ-সভাপতি মনিরুল রহমান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু মঈন চৌধুরী ও আনোয়ারুল ইসলাম আনু, হবিগঞ্জ জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সজীব আলী, সহ-সভাপতি জিতু মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিয়ারিছ মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান, সদস্য সায়েদ মিয়া, নবীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি ইয়াওর মিয়া প্রমূখ। সভায় সিদ্ধান্ত হয় আজ শনিবারের মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে রবিবার সকাল ১১টায় হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, মাধবপুর, বাহুবল, নবীগঞ্জ ও লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সকল বাস তারা হস্তান্তর করে দেবেন।

প্রসঙ্গত, ২৮ নভেম্বরের মধ্যে হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ না হলে সকল সড়কেই বাস চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছিল হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রæপ, জেলা বাস, মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ। ১৮ নভেম্বর হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ হুশিয়ারি দেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ ফজলুর রহমান চৌধুরী বলেন, হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে অবৈধ গণপরিবহণ চলাচল করছে। এমনকি হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সাও দেদারছে চলছে। এসব পরিবহন বন্ধের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। বিভিন্ন সময় বাস চলাচল বন্ধ করে কর্মবিরতি পালন করেছি। এ সময় প্রশাসনের কর্মকর্তারা অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অবৈধ যানবাহনের কারণে দিনের পর দিন মোটা অংকের লোকসান গুণতে হচ্ছে বৈধ পরিবহনগুলোকে। অনেক পরিবহন এখন দেউলিয়া হওয়ার পথে। পাশাপাশি অবৈধ পরিবহনগুলোর বেপরোয়া চলাচলের কারণে প্রাণ দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কিন্তু এরপরও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। বাস শ্রমিকরা এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে মারধরের শিকার হতে হয়। সর্বশেষ গত ১৪ অক্টোবর তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। কিন্তু এরপরও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে ২০ অক্টোবর বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার তাদের আশ্বস্ত করেন ১ নভেম্বর থেকে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু হবে। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যে কারণে বাধ্য হয়ে তাদেরকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

প্রথম পাতা