হাওড়ের শোকরগোজারের সমাজসেবার নিবন্ধন লাভ
তারিখ: ২৫-নভেম্বর-২০২১
স্টাফ রিপোর্টার \

 বর্ষায় চারপাশে পানি থাকে। মাঝখানে বসবাস। বের হলে নৌকা নিয়ে যেতে হয়। আর শুকনো মৌসুমে পাঁয়ে হেঁটে চলা। এছাড়া উপায় নেই।
বাহুবল উপজেলার গুঁঙ্গিয়াজুরী হাওড় এলাকায় অবস্থিত এ স্থানটির নাম সমুদ্রফেনা। এখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরীর কন্যা সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর দানকৃত প্রায় ৩৬ বিঘা জমিতে গড়ে উঠেছে শোকরগোজার
 দাতব্য প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে শোকরগোজার পাঠশালা রয়েছে। প্রার্থনাগারের কাজ চলমান।
মঙ্গলবার শোকরগোজার প্রার্থনাগারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণলায় কর্তৃক নিবন্ধনের সনদ প্রদান করা হয়। জেলা সমাজসেবার উপ-পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে শোকরগোজারের পক্ষে এ নিবন্ধনের সনদ গ্রহণ করেন দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন, মোঃ ইমাম উদ্দিন, মোঃ জামাল উদ্দিন, অর্জুন কোমার দাস, মোঃ ফিরুজ মিয়া, মোঃ আমিন মিয়া, মোঃ নাসির উদ্দিন, মোঃ জুনেদ মিয়া, নীলমনি চক্রবর্তী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জেলা সমাজসেবার উপ-পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন- শোকরগোজার অসহায় মানুষদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। তাই সমাজসেবা এ দাতব্য প্রতিষ্ঠানের পাশে আছে।
কেয়া চৌধুরী বলেন, চলতি বছরের রবিবার (১৩ জুন) দুপুরে এ পাঠশালার উদ্বোধন করেন নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) সাবেত্রী নায়েক। পাঠশালায় ১ম থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান দেওয়া হচ্ছে। হাওড় এলাকা হওয়ায়, এখানকার শিশুরা প্রায় শিক্ষা বঞ্চিত। এসব বঞ্চিত শিশুদের মাঝে সুশিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্যই এ পাঠশালা চালু করা হয়েছে। এখানে লেখাপড়ার পাশাপাশি শিশুদেরকে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখানকার লোকেরা পানির সাথে লড়াই করে বেঁচে আছে। তারা সংগ্রামী। এরমধ্যে অনেক দরিদ্র লোক আছে। আমি তাদের পরিবারের সন্তানকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করাতে চেষ্টা করছি। এ হাওড়ের মাঝখানে একখন্ড এ জমিতে শিক্ষার বাতিঘর গড়ে তুলেছি। এজন্য সবার সহযোগীতা একান্তভাবে প্রয়োজন। ৩৮ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে এ পাঠশালায় যাত্রা শুরু হয়েছিল। উদ্দেশ্য মহৎ। লক্ষ্য বহুদূর।
তিনি বলেন- করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে এ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অসহায় লোকজনের মাঝে নানাভাবে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। আমার ও আমার স্বামীর ব্যক্তিগত অর্থে এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলমান আছে। সনদপত্র অনুষ্ঠানের পর প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। এতে সংশ্লিষ্ট সবাই অংশগ্রহণ করেন।
অভিভাবকরা বলেন, হাওড়ে মাঝখানে শিক্ষার বাতিঘর। সবকিছু যেন স্বপ্নেরমত লাগছে। এসব সম্ভব হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরীর কন্যা সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর অক্লান্ত চেষ্টার ফলে। এ পাঠলাশায় আমাদের সন্তানরা লেখাপড়া করে এগিয়ে যাবে, তাই অত্যন্ত ভাল লাগছে। এছাড়া এ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অসহায় লোকজনকে সহায়তা করা হচ্ছে। এখানে প্রার্থনাগার হচ্ছে।

প্রথম পাতা