শ্রীমঙ্গল টি এস্টেটকে বন্দোবস্ত সাতাইহাল পাহাড়ে অশান্তির দানা
তারিখ: ১১-জুলাই-২০২৪
স্টাফ রিপোর্টার \

নবীগঞ্জ উপজেলার সাতাইহাল বহুমুখী সমবায় সমিতির দখলকৃত ভূমি নিয়ে এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নে গড়িমসি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। 
জানা যায়- ওই উপজেলার ববান মৌজার ৩৮৮ একর সরকারি খাস ভূমি সম্প্রতি শ্রীমঙ্গল টি এস্টেটকে বন্দোবস্ত দেয় জেলা প্রশাসন। কিন্তু উক্ত ভূমির মধ্যে ৫৫.৬০ একর ভূমিতে স্থানীয় সাতাইহাল বহুমুখী সমবায় সমিতির সদস্যরা ভোগ-দখলে আছেন। তারা বিগত ২০ বছর যাবত উক্ত ভূমিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যৌথ অংশীদারিত্বের চুক্তিতে গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি পালন, মৎস্য চাষ, কাসাভা, লিচু, কাঠাল, মাল্টা, লেবু, কাজু বাদাম, কপি ও আনারসসহ বিভিন্ন অর্থকরি ফসল চাষাবাদ করে আসছেন। সমিতির পক্ষে সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূর উদ্দিন আহমেদ (বীর প্রতীক) ২০০১ সালে তাদের দখলীয় ভূমি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। পরবর্তীতে আরো বেশ কয়েকবার এ বিষয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু জেলা প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
এদিকে, ‘শ্রীমঙ্গল টি এস্টেট’ নামে একটি কোম্পানীকে ১০ বছরের (২০২৩-২০৩৩) জন্য বন্দোবস্ত প্রদান করে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন। এতে দেখা যায়- সমবায় সমিতির দখলকৃত ভূমিও অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এই বন্দোবস্ত দেয়ায় শ্রীমঙ্গল টি এস্টেটের লোকজন উক্ত ভূমি দখল নিতে গেলে সেখানে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ বিগত ২২ এপ্রিল সাতাইহাল সমবায় সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূর উদ্দিন আহমেদ (বীর প্রতীক) হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। এ প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বন্দোবস্তকৃত ভূমিতে স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। 
অপরদিকে, সমবায় সমিতির বন্দোবস্তের আবেদন ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। বিগত ২০ মে উক্ত আদেশ জেলা প্রশাসকের হাতে পৌঁছে। আগামী ২০ জুলাই হাইকোর্টের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হবে। কিন্তু এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় বন্দোবস্তকৃত ভূমিতে স্থিতাবস্থা বিনষ্ট হয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে।