জনতার মুখোমুখি জনতার কেয়া চৌধুরী
তারিখ: ১-জুলাই-২০২৪
দিদার এলাহী সাজু \

বাহুবল-নবীগঞ্জে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কেয়া চৌধুরী এমপি। সপ্তাহের ৭ দিনের ৫ দিনই হচ্ছেন জনতার মুখোমুখী। ফলে তার এমন জনমুখী কর্মকান্ড এখন প্রশংসিত সর্বমহলে। জানা যায়,  কেয়া চৌধুরী এমপি সপ্তাহের ৭ দিনকে ৩ ভাগে ভাগ করে শুক্র ও 
শনি এ দুটি বন্ধের দিন রেখেছেন নিজের জন্য। অবশিষ্ট ৫ দিনের মধ্যে রবি, সোম ও মঙ্গলবার নবীগঞ্জ এবং বুধ ও বৃহস্পতিবার বরাদ্দ রেখেছেন বাহুবলবাসীর জন্য। নির্দিষ্ট এসব দিনে বাহুবল সদরের ডাকবাংলোয় ও নবীগঞ্জের ডাকবাংলোয় প্রচুর মানুষের ভিড় জমে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার বাহুবল সদরের ডাক বাংলোয় সরেজমিনে দেখা যায় প্রচুর মানুষের সাথে কথা বলছেন কেয়া চৌধুরী। এ সময় তিনি সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা সরাসরি মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং সাধ্যমতো সমাধানের চেষ্টা করেন।
কেয়া চৌধুরীর একজন ঘনিষ্টজন জানান, সংসদ অধিবেশ চলা কিংবা বিশেষ কোন কারণ ছাড়া সাধারণত এ নিয়মের ব্যতিক্রম হয় না। সাধারণ মানুষের অভিমত, একটা সময় ছিল যখন উপজেলা সদর কিংবা কোন কোন ইউনিয় সদরের মানুষ সৌভাগ্যক্রমে কালে-ভদ্রে এমপি সাহেবের ‘দেখা’ পেয়ে সন্তোষ্ট থাকলেও গ্রামের মানুষের কাছে 'এমপি শব্দ টা' ছিল শুধুই কল্পনার বস্তু। উন্নয়ন বলতে ছিলো, দলীয় নেতা, আত্মীয়-স্বজন ও তোষামোদকারী চামচা বা দালাল শ্রেণীর পকেটভারী করা। তাদের মতে, গ্রামীণ অবকাঠামো বিনির্মানে সরকারী বরাদ্দ টি.আর কিংবা খাবিখা' এক সময় ভেসে বেড়াতো হাওয়ার স্রোতে। 
সমাজ সচেতন মানুষ জানান, অনেক দিক দিয়ে এখনও পিছিয়ে বাহুবল ও নবীগঞ্জ উপজেলা। তাছাড়া  জনপ্রতিনিধিদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে ইতোপুর্বে খুব বেশী পরিচিত ছিলেন না এখানকার মানুষ। তবে সা¤প্রতিক দশক গুলোতে সময়ের চাপে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বিশেষ করে এবার এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী নির্বাচিত হবার পর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় ফিরে এসেছে অভূতপূর্ব পরিবর্তন। কেয়া চৌধুরীর কল্যাণে এখন মানুষ ঘরে বসেই জানতে পারছে কোন খাতে, কোথায়, কত টাকা বরাদ্দ হচ্ছে। ফলে অবৈধ সুবিধাভোগী ও দালাল শ্রেণী এখন কোণঠাসা। 
প্রসঙ্গত, বাহুবলের ৭টি ও নবীগঞ্জের ১৩টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ -১ সংসদীয় আসন। এখানে প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস।