হবিগঞ্জ পল্লী সমিতির অসহনীয় লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে গরমের সঙ্গে তীব্র হয়ে উঠেছে বিদ্যুতের লোডশেডিং এতে করে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বাসীর দৈনন্দিন জীবন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়ছেন অনেকেই। বিষয়টি স্বীকার করে বিদ্যুৎ অপিস কর্তৃপক্ষ জানায়, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকের নিচে নেমে আসায় লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরাঞ্চলে এক থেকে দেড় ঘন্টা পর নিয়ম করে লোডশেডিং করা হলেও গ্রাম অঞ্চল গুলোর অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। বেশিরভাগ সময় থাকে না বিদ্যুৎ। কোথাও এক থেকে দেড় ঘন্টা পর পর দেওয়া হয় বিদ্যুৎ। আবার কখনোও টানা ঘন্টার পর ঘন্টা থাকে না বিদ্যুৎ। এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছে সাধারণ মানুষ। আবাসিক এলাকার বাসিন্দাসহ বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসায়ীরা। বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল গৃহস্থালী কাজে ব্যাঘাত ঘটায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসা বাড়ি ও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিসে নষ্ট হচ্ছে কর্ম ঘন্টা। এব্যপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।চরম মাত্রায় লোডশেডিং এর কারণে ব্যবসায়ীদের লেমিনিটিং মেশিন, বাসা বাড়ির ফ্রিজ, এসি, টিভি ও কম্পিউটার সহ বিভিন্ন দামি দামি জিনিসপত্র নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেশি সময় বিদ্যুৎ না থাকলে ইন্টারনেট সেবা ও বিঘিœত হচ্ছে। এদিকে ঘন ঘন লোডশেডিং হলেও গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল আসছে বেশি। এ নিয়ে অনেকের মনে রয়েছে অনেক জল্পনা কল্পনা। তবে এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভিলেজ ইলেকট্রিশিয়ান মোহাম্মদ আলী বলেন, ঘনঘন বিদ্যুত লোডশেডিং দিলে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে।