হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লোকড়া ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে হাজী আমির আলী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গনি ও অফিস সহকারী রেজুনা আক্তারের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমন্বয়ক ছাত্রছাত্রীরা ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে। গতকাল বুধকার সকালে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকক কার্যালয়ে ছাত্রছাত্রী ও গ্রামবাসী এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে। মানববন্ধন শেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা অফিসারের বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উল্লেখ করেন, প্রধান শিক্ষক ও সহযোগী অফিস সহকারী দীর্ঘদিন ধরে নানান অনিয়ম ও দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। উপবৃত্তি পেতে হলে ৫০০-১৫০০০ টাকা উৎকোচ দিতে হয়। নতুবা উপবৃত্তির টাকা প্রধান শিক্ষক ও হিসাব সহকারী তাদের নিজেদের ও পরিচিত লোকদের নাম্বার ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নেয়। কৃষি ব্যবহারিক খাতা লিখার জন্যও টাকা দিতে হয় শিক্ষার্থীদের। তাছাড়া এসএসসি ফরম ফিলাপ বাবাদ ২১০০-২৩০০ টাকা, এমনকি ৪০০০ হাজার টাকা আদায় করেন তারা। নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ আদায় করেন ১৫০০ টাকা। অষ্টম শ্রেণীর রেজিস্ট্রেশন ফি ২২৫ টাকার বিপরিতে নেয়া হয় এক হাজার টাকা। এমপিও ভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়োগ দেয়ার নাম করে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাবের বরাদ্ধের নামে ৬৫ হাজার টাকা আত্বসাৎ করেছেন। ওই ল্যাবে সরকারের দেয়া ১৭টি কম্পিউটার বরাদ্ধ আসলেও বাস্তবে এর কোনো মিল নেই। স্কুলের ১৬জন শিক্ষক-কর্মচারী নামে ভুয়া রেজুলেশন করে হিসাব সহকারী ও প্রধান শিক্ষক তাদের বেতন ভাতা তিনি একাই ভোগ করেন। এদের মাঝে শিক্ষকদের অধিকাংশই কাগজে কলমে বাস্তবে রয়েছেন দুই জন। উক্ত স্কুলের সাইনবোর্ড মেরামতের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেন এবং তার পূণমেরামত কাজ এখনও করা হয়নি। এছাড়া নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরিক্ষা ফি নেয়া হয়ে থাকে ৪শত টাকা কিন্তু প্রশ্ন দেয়া হয় মোট ৫/৬জনের বিপরিতে একটা। এমনকি স্কুলের পরিক্ষার ফলাফল নির্দিষ্ট নোটিশ বোর্ডে দেয়ার কথা থাকলেও তা করেননি তিনি। এতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হয়। মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন সমন্বয়ক মুজিবুর রহমান, দুলাল মিয়া, জাকির হোসেন, মুরুব্বী আহমদ আলী, মিছির মিয়া, শহীদ মিয়া, দিলু মিয়া, মিয়াধন মিয়া, ফুরুক মিয়া, সিরাজ আলী, প্রাক্তন শিক্ষক কাজী মিজানুর রহমান, ছাত্রী তামান্না আক্তার, হারুন মিয়া, অভিভাবক বাচ্চু মিয়াসহ আরো অনেকেই। পরিশেষে জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।