সরকার পরিবর্তনের সুযোগে নিজেকে বিএনপি কর্মী দাবী করে দৌড়ঝাঁপ
তারিখ: ১২-সেপ্টেম্বর-২০২৪
স্টাফ রিপোর্টার \

 নবীগঞ্জের লন্ডন প্রবাসী মিনাল চৌধুরী সরকার পরিবর্তন পর পরই দেশে ফিরেই নিজেকে বিএনপির সক্রিয় কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে নানা দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছেন। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে সর্বত্র। জানা যায়, গত  নবীগঞ্জ পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেলের সমর্থনে নৌকা মার্কার পক্ষে প্রচার প্রচারণায় অংশ নেন লন্ডন প্রবাসী মিনাল চৌধুরী। এ নিয়ে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মিনাল চৌধুরীর ছবিসহ ফেসবুকে বিলাল মিয়াসহ অনেকেই পোস্ট করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিসহ মিনাল চৌধুরীর কর্মকান্ড নিয়ে নানা সমালোচনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। স¤প্রতি সরকার পরিবর্তনের পর পরই দেশে ফিরে আসেন লন্ডন প্রবাসী মিনাল চৌধুরী এবং নিজেকে বিএনপির কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়েরর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুক আপলোড করেন। বিএনপির ব্যানারে নিজেকে তুলে ধরার অপপ্রয়াস চালালেও তার রং পাল্টানো ভূমিকা নিয়ে সর্বত্র আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামীলীগে সরকারের আমলের সুবিধাভোগী মিনাল চৌধুরী নবীগঞ্জ শহরের হাসপাতাল রোডস্থ খালিক মঞ্জিল নিবাসী মৃত মদব্বির হোসেন (মত্তকির) চৌধুরীর ছেলে। মিনাল চৌধুরীর এমন ভূমিকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া ও নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই বিভিন্ন কমেন্ট করেন। মিনাল চৌধুরী নিজেকে হবিগঞ্জ জেলার প্রভাবশালী নেতার বলয়ের লোক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রভাব কাটানোর অপপ্রয়াস চালানোর অভিযোগ উঠে। স¤প্রতি শহরের মদিনা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির পূর্বের কমিটিকে পাশ কাটিয়ে  নিজেকে মোতায়াল্লী ঘোষণা করে নতুন কমিটি নিয়ে মুসল্লীদের মাঝে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া খালিক মঞ্জিলে প্রয়াত ছানু মিয়া চৌধুরীর অংশ দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় একডজন পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন হয়েছে। এছাড়াও বাসা ও মার্কেট নিয়ন্ত্রনে নিয়ে তালা দেয়া, বাড়া উত্তোলন নিয়ে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দেন প্রয়াত ছানু মিয়া চৌধুরীর মেয়ে লন্ডন প্রবাসী জোসনা চৌধুরী। এনিয়ে  তদন্ত চলছে। বিএনপি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, স¤প্রতি সরকার পরিবর্তনের পরপরই দেশে গমন করেন দুই সহোদর। এসেই তিনি কেন্দ্র ও হবিগঞ্জ জেলার বিএনপি নেতাদের সাথে সেল্ফি তোলে নিজেকে বিএনপি নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সরব প্রচারণা শুরু করেন। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আওয়ামীলীগ দলীয় এমপি ও বিগত পৌর নির্বাচনে নৌকা সমর্থিত প্রার্থী গোলাম রসুল রাহেল চৌধুরীর সমর্থনে মাঠে সরব থাকার তথ্য সংবলিত গণসংযোগের ছবি ভাইরাল হয়। ফেসবুক পোষ্টের কমেন্ট বক্সে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হাইব্রিড মিনাল ও তার সহোদর দিলালকে নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য এক সময় মিনাল চৌধুরী দেশে থাকা অবস্থায় ছাত্র জীবনে নবীগঞ্জ থানা ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। পরে তিনি বৈবাহিক সূত্রে লন্ডন প্রবাসে চলে যাওয়ায় তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয় ছিলেন না। কিন্তু বিগত নবীগঞ্জ পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী চাচাতো ভাই রাহেল চৌধুরীর পক্ষে কাজ করেন। এ সুবাধে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য মিলাদ গাজীসহ আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। এদিকে গত ১৪ আগষ্ঠ কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম- আহবায়ক এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সাক্ষরিত পত্রে বলা হয়, শেখ হাসিনা কর্তৃক আয়োজিত স্থানীয় নির্বাচনে যারা অংশ গ্রহণ এবং কারো সমর্থনে গণসংযোগ করেছে তাদের বিরোদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করে তাদের দলীয় ভাবে বয়কট ও তাদের সাথে কোন প্রকার সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার  আহবান জানান।

প্রথম পাতা