আজমিরীগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধে ভাঙ্গন, কর্তৃপক্ষ নির্বিকার!
তারিখ: ১২-সেপ্টেম্বর-২০২৪
স্টাফ রিপোর্টার \

আজমিরীগঞ্জে কালনী-কুশিয়ারা নদীর তীরে ফসল রক্ষা বেঁড়িবাধে বড় ধরনের ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে দ্রæত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে শতশত একর ফসলি জমি ভাঙ্গনসহ  চলতি রোপা আমন মৌসুমে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হবার শঙ্কায় দিন পার করছেন সাধারণ  কৃষকরা। ভাঙ্গনের বিষয়টি নিয়ে চলতি বছরের ফেব্রæয়ারী মাসের শেষের দিকে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও এখন পর্যন্ত বাঁধটি সংস্কারে পাউবো কতৃপক্ষ রয়েছেন নির্বিকার। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, প্রায় আট বছর আগে পৌর সদরের লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বদলপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত দুই দফায় প্রায় সাত কিলোমিটার ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, “বাঁধটি নির্মাণের বছর তিনেক পর দ্বিতীয় দফায় বাঁধ সংস্কারের সময় বাঁধের গোঁড়া থেকে মাটি কেটে সংস্কার করার ফলে বাঁধের গোঁড়া ও বাঁধটি দুর্বল হয়ে গেছে দ্রæত। যার দরুণ নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে এখন বাঁধের প্রায় আধা কিলোমিটারই রয়েছে বিলীনের পথে।”উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, “পৌর সদরের লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বদলপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত হাওড়ে প্রায় পাঁচশ হেক্টরের বেশী কৃষি জমি রয়েছে। বাঁধটি নদী ভাঙ্গনে বিলীন হলে বদলপুর ইউনিয়নের অন্যান্য হাওড়সহ জলসুখা ইউনিয়নের কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমির  রোপা আমন ফসল নষ্ট হবার শঙ্কা রয়েছে।” সরজমিনে কালনী-কুশিয়ারা ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের ঘাগানি গাছ সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেড়িবাঁধের বেশ কয়েকটি অংশে নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে বেড়িবাঁধের অনেকাংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় কৃষক বশির মিয়া জানান, বেড়িবাঁধটির অনেকাংশ প্রায় বিলিনের পথে। এটি এখনই মেরামত করা না হলে ফসলি জমি ও আমন ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। নোমান মিয়া নামের অন্য এক কৃষক জানান, কয়েক মাস আগেও এতটা ভাঙ্গন ছিলনা। তখন মেরামত করলে ভাঙ্গন অনেকটাই কম হত। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাঁধ মেরামতের কোন লক্ষণই নাই। বাঁধটি দ্রæত মেরামত না করা হলে ফসলি জমি ও ফসল দুটোই হারাতে হবে আমাদের। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো.কাশেম মিয়া বলেন, বেড়িবাঁধটির অবস্থা খুবই খারাপ। এখনই মেরামত করা না হলে ফসলি জমি ও ফসল হারাবে সাধারণ কৃষক।জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, সরজমিনে বাঁধটি পরির্দশন করা হবে এবং ভাঙ্গন কবলিত অংশে চলতি অর্থবছরে কাবিটা কর্মসূচির আওতায় পি আই সি এর মাধ্যমে বাঁধ মেরামতের কাজ করা হবে।

প্রথম পাতা