বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক কমিটির সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- হবিগঞ্জ একটি স¤প্রীতির শহর। এই শহরে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির উজ্জল দৃষ্টান্ত রয়েছে। আমি হবিগঞ্জ পৌরসভায় ৩ বার মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছি। সেই সময় রোজা এবং পূজা এক সঙ্গে আমরা উদযাপন করেছি। কিন্তু বিন্দুমাত্র সমস্যা হয়নি। এইবারও পূজায় কোনো প্রকার বিশৃংখলা হবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, আসন্ন দুর্গাপূজা যাতে নিরাপদ ও সুন্দরভাবে সনাতন ধর্মের মানুষ উদযাপন করতে পারে সে জন্য বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দিন রাত পাহারায় থাকবে। কোনো দুষ্ট লোক যাতে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য বিএনপি প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তিনি গতকাল বুধবার বিকালে আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা সুন্দর ও সুষ্ঠ করার লক্ষে হবিগঞ্জ জেলা ও পৌর পূজা উৎযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দের সাথে শহরের কালীবাড়ীতে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। সভায় জি কে গউছ আরও বলেন- আমি ৩ বার হবিগঞ্জ শহরে পরীক্ষা দিয়েছি। আমার মনে হয় আমি সেই পরীক্ষায় ভালো করেছি। কারণ শেষ ভালো যার সব ভালো তার। আমি হবিগঞ্জ পৌরসভায় সর্বশেষ নির্বাচন করেছিলাম সিলেট কারাগার থেকে। সেই নির্বাচনে আমার অনেক আপনজন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু হবিগঞ্জের সনাতন ধর্মের মানুষ আমার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেননি। তারা ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে মেয়র নির্বাচিত করেছিলেন। এ জন্য আমি হবিগঞ্জের সনাতন ধর্মের মানুষের প্রতি আমৃত্যু ঋণী হয়ে থাকবো। যখনই সুযোগ পাবো এই ঋণ পরিশোধের চেষ্টা করবো। তিনি বলেন- আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকালিন সময়ে আশংকা করেছিল দেশের পট পরিবর্তন হলে বড় ধরনের হামলা ভাংচুর খুন খারাপি হবে। কিন্তু গত ৫ আগষ্টের পর বিএনপি সেটা মিথ্যা প্রমাণ করেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি নেতাকর্মীরা কঠোর হস্তে দুর্বৃত্তদের প্রতিরোধ করেছে। জনগণের জানমাল রক্ষায় বিএনপি সম সময় পাশে থাকবে।জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট নলিনী কান্ত রায় নিরুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন এডভোকেট অহিন্দ্র দত্ত চৌধুরী, এডভোকেট পূন্যব্রত চৌধুরী বিভু, জগদিশ চন্দ্র মোদক, অনুপ কুমার দাস মনা, এডভোকেট সুধাংসু সুত্রধর, দেবাঞ্জন ভট্টাচার্য, সুমঙ্গল রায়, স্বপন লাল বণিক, বাদল কুমার রায়, সুধাংসু সুত্রধর, শংকর অধিকারী, অলক কুমার চন্দ্র, প্রানেশ গোস্বামী, সম্পদ রায়, লিটন রায়, বিএনপি নেতা গোলাম মোস্তফা রফিক, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম, ইসলাম তরফদার তনু ও হাজী এনামুল হক, গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল, এডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, আজিজুর রহমান কাজল, তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, শেখ ফরিদ, হাজী আবু তাহের, শাহ আলম গোলাপ, শামছুদ্দিন আহমেদ, মর্তুজ আহমেদ রিপন, মফিজুর রহমান বাচ্চু, মিজানুর রহমান চৌধুরী, এডভোকেট গুলজার খান, নজরুল ইসলাম কাওছার প্রমুখ।