হবিগঞ্জ শহরে সরকারী মহিলা কলেজে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। রাতের আঁধারে বালুর সাথে মাটি মিশিয়ে ভিট ভরাট করছে কর্তৃপক্ষ। এতে করে ভবন ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভবন নির্মানের কাজে ব্যবহৃত ১৫টি মাটি মিশ্রিত বালুর ট্রাক আটক করেছেন স্থানীয় ছাত্র-জনতা। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা ভবনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। অন্যদিকে জনতার জিজ্ঞাসাবাদে অনিয়মের কথা স্বীকার করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়রা জানান, শহরের বহুল পরিচিত সরকারী মহিলা কলেজের ৬ তলা একাডেমিক ভবনের নির্মানের কাজ করছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোস্তফা কামাল এন্টারপ্রাইজ। এরপর থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভবণ নির্মানে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নির্মানাধিন ভবনের কাজে লুকোচুরি করছে প্রতিষ্ঠানটি। ভবনের বিট নির্মাণে বালু দেয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাটি ব্যবহার করছে। রাতের আঁধারে বালুর সাথে মাটি মিশিয়ে নির্মাণাধিন ভবনের বিট ভরাট করা হচ্ছে। বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় ছাত্র-জনতার। গতকাল রাতে ১৫টি মাটি মিশ্রিত বালুর ট্রাক কলেজ প্রাঙ্গনে নিয়ে আসা হলে সেখানে জড়ো হন ছাত্র-জনতা। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ট্রাক গুলো আটক করেন এবং অনিয়ম থাকায় কাজ বন্ধ করে দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সালেক আহমেদ ও রিপন মিয়া জানান, রাতের আঁধারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বালুর সাথে মাটি মিশিয়ে বিট ভরাট করছিল। এতে ভবণ নির্মানের পর যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। কাজের মধ্যে তারা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছে। বিষয়টি আমরা জানতে পেরে হাতে নাতে বালুর সাথে মাটি মেশানো ১৫টি ট্রাক আটক করেছি। এর আগেও তারা প্রায় ২০ ট্রাক মাটি মিশ্রিত বালু ভবনে ব্যবহার করেছে। বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শামসুদ্দিন জানান, ভবনে নির্মাণে বালু ব্যবহারের নির্দেশনা রয়েছে। আমরা খোয়াই নদী থেকে বালু এনেছি’। বালুর সাথে কিছু মাটি মিশ্রিত রয়েছে।