নবীগঞ্জের পল্লীতে জুমার নামাজে মসজিদের মধ্যে মোতাওয়াল্লী নিয়োগ ও মসজিদের হিসাব নিকাশ নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৪ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়,গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের সময় উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের মথুরাপুর জামে মসি জদের নতুন মোতাওয়াল্লী নিয়োগ, পুরাতন মুয়াতাল্লিকে অব্যাহতি ও মসজিদের হিসাব নিকাশ নিয়ে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। মসজিদের হিসাব নিকাশ নিয়ে এর আগে কয়েক দফা গ্রাম্য পঞ্চায়েত বসে কোন সুরাহা হয়নি। গতকাল পুরাতন মোতাওয়াল্লী প্রবীন মুরব্বি আলাল মিয়া অব্যাহতি চেয়ে হিসাব নিকাশ দিতে চাইলে এই বিষয় নিয়ে মথুরা পুর গ্রামের হাফেজ নজরুল ইসলাম গং ও শামীম আহমদ মনা গংদের মধ্যে মসজিদের ভিতরে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ৫০ জন আহত হন। এতে গুরুতর আহতরা হলেন, হাফেজ নজরুল ইসলাম (৫৫), রায়হান কবীর (৩৬), রহিম উদ্দিন (৩৮), হাম্মদ মিয়া (২৮), ইসরাফিল (৬০), নুুনু মিয়া (৩৫), ফজলু মিয়া (৩২), সাজ্জাদ মিয়া (৩৩), নিজাম উদ্দিন (৩৬), শামীম আহমদ মনা (৪৫), শামসু মিয়া (৬২), সুলেয়মান মিয়া (৫২), জুয়েল আহমদ (৪০), আলতা মিয়া (৪৫), রোমান মিয়া (৩৫), জনি (২২) ও রব্বান মিয়া (৩০) প্রমূখ। এদের মধ্যে হাফেজ নজরুল ইসলাম (৫৫), রায়হান কবীর রহিম উদ্দিন (৩৮), হাম্মদ মিয়া (২৮) ও নিজাম উদ্দিন (৩৬) কে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাফেজ নজরুল ইসলাম বলেন, গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের সময় নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের মথুরাপুর জামে মসসিজদের পুরাতন মোতাওয়াল্লী আলাল মিয়া অব্যাহতি চেয়ে ও মসজিদের হিসাব নিকাশ দিতে চাইলে শামীম আহমদ মনা গংরা অর্তকিত হামরা করে। আমাদের মসজিদের নামাজ পড়তে বাঁধা দেয়। এর আগে মসজিদের হিসাব নিকাশ নিয়ে এর আগে কয়েক দফা গ্রাম্য পঞ্চায়েত বসে কোন সুরাহা হয়নি। অপর পক্ষের শামীম আহমদ মনা বলেন, আগের পুরাতন মোতাওয়াল্লী কাছে হিসাব নিকাশে গড়মিল ছিল, তিনি ৩৬ হাজার টাকার কোন হিসাব দিতে পারেননি। আমরা সঠিক হিসাব চাইলে হাফেজ নজরুল গংরা উত্তেজিত হয়ে উঠেন। তিনি মসজিদ কমিটির সদস্য নয়। এব্যাপারে মোতাওয়াল্লী আলাল মিয়া বলেন, আমি হিসাব নিকাশ দিতে চাইলে এই নিয়ে কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ কামরুজ্জামান জানান, আমরা সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এবিষয়ে কোন পক্ষ এখনও মামলা দেয়নি। কোন পক্ষ মামলা দিলে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।