স্টাফ রিপোর্টার ॥
শায়েস্তাগঞ্জ অলিপুরে রাসেল মার্কেটে আদালতের আদেশ অনুযায়ী চাঁদাবাজের কবল থেকে দোকানগুলোর তালা খুলতে গিয়ে চাঁদাবাজদের বাঁধার মুখে পড়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন। অবশেষে দীর্ঘ চেষ্টার পর চাঁদাবাজদের কবল থেকে উদ্ধার করতে না পেরে ফেরত চলে গেলেন।
জানা যায়, গত ১ মাস ১২ দিন যাবত রাসেল মার্কেট জোরপূর্বক চাঁদাবাজ জসিম মিয়া, মোহন মিয়া, ফুরকান আলী, রেহানা আক্তার রেনু বাহিনী চাঁদা না পেয়ে ব্যাবসায়ীদের মারধর করে মার্কেট তালা বন্ধ করে দেয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী দখলের মামলা হলে, জসিম ও তার গ্যাংয়ের জিয়া কারাগারে ছিল দীর্ঘ ২৮ দিন। অবশেষে জসিম, ফুরকান, মোহন, রেহানা রেনু, বেলাল, জামাল চৌধুরী বাহিনীর হাত হতে রাসেল মার্কেট উদ্ধার করতে গত ২২শে অক্টোবর রোজ বুধবার হবিগঞ্জ জেলা আদালত এ তালা খুলে দেয়ার আদেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় নির্বাহী মাজিস্ট্রেট পল্লব হোম দাশ ও শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীলিপ কান্ত নাথসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যাওয়া পর বিচারক রায় কার্যকর করতে গেলে, জসিম মিয়া, মোহন মিয়া, ফোরকান আলী গংদের তোপের মুখে পড়েন। তারা বিচারকের সামনে খারাপ আচরন করেন। পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় আদেশ কার্যকর না করেই প্রশাসনের লোকদের নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।
এদিকে, প্রশাসনের লোকজন মার্কেট থেকে ফেরত চলে যাওয়ার পর জসিম মিয়া, মোহন মিয়া, ফোরকান আলী জামাল গংরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাসেল মার্কেটের পক্ষের লোকজনের উপর হামলার চেষ্টা করে। এসময় সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ বাঁচতে দিকবেদিক ছুটাছুটি করতে দেখা যায়। সাধারণ মানুষ বলছেন, জসিম মিয়া ও মোহন গংরা আইন এবং বিচারের তোয়াক্কা করে না। বিষয় টি যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বা হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। অনতিবিলম্বে স্থানীয় লোকজন প্রশাসনের আইন প্রয়োগের কামনা করেন। এদের হাত হতে এলাকাবাসী মুক্তি চায়। জনতা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয়ের দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন।