রিচি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মেম্বারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
তারিখ: ২৭-অক্টোবর-২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার ॥

 জাল ওয়ারিশান সনদ প্রদানের অভিযোগে রিচি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
রিচি গ্রামের আজম হোসেনের পুত্র মোঃ ওয়াহিদ হোসেন মস্তু বাদী হয়ে গতকাল হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযুক্তরা হচ্ছেন, রিচি গ্রামের (ঈশানকোনা) ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছবদুল হোসেনের পুত্র মোঃ আক্কাছ আলী (৫০) রিচি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আব্দুল কাইয়ুম (৩০), ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আব্দাল উদ্দিন খান (৫০), আক্কাছ আলীর মেয়ে মোছাঃ শান্তনা আক্তার (৩০) ও মোছাঃ তুলনা আক্তার।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, আমার ফুফু সাজেদা বেগম নিঃসন্তান হিসাবে বিগত ২০২১ সনের ২৪ জানুয়ারী মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে আমার ফুফা মমিন আলীও মৃত্যুবরণ করেছেন। আমার ফুফু সাজেদা বেগমের ওয়ারিশান হিসাবে বাদী তার ভাই বোনরা রয়েছেন।
২০২১ সনের ৪ নভেম্বর রিচি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের তৎকালীন মেম্বার আব্দুল জলিল দুলাল ও প্যানেল চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সাজু আমার ফুফু সাজেদা বেগম তার স্বামী আব্দুল মমিনকে একমাত্র ওয়ারিশান হিসাবে রেখে মৃত্যুবরণ করেছেন মর্মে ওয়ারিশান সনদপত্র প্রদান করেন।
পরবর্তীতে গত ২০২৩ সনের ২৮ মার্চ রিচি ইউপির ১নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আব্দুল কাইয়ুম এবং চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম আমার ফুফু সাজেদা বেগম নিঃসন্তান হিসাবে মৃত্যুবরণ করেন বলে ওয়ারিশান সনদপত্র প্রদান করেন। 
এদিকে গত ২১ জুলাই রিচি ইউপির ১নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আব্দুল কাইয়ুম এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আব্দাল উদ্দিন খান আমার ফুফু সাজেদা বেগম মৃত্যুকালে মোঃ আক্কাছ আলীকে জীবিত পুত্র হিসাবে রেখে যান বলে একটি জাল ওয়ারিশান সনদপত্র প্রদান করেন। মোঃ আক্কাছ আলী প্রকৃতপক্ষে সাজেদা বেগমের গর্ভজাত সন্তান নয়।
অপর দিকে গত ৩১ আগষ্ট ১নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আব্দুল কাইয়ুম এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আব্দাল উদ্দিন খান আমার ফুফু সাজেদা বেগম মৃত্যুকালে আমরা ভাতিজা ভাতিজি ৯ জনকে ওয়ারিশান হিসাবে রেখে যান বলে ওয়ারিশান সনদ প্রদান করেন। এতে ওয়ারিশান হিসেবে আক্কাছ আলীর নাম নেই।
গত ২১ জুলাই প্রদত্ত জাল ওয়ারিশান সনদ দিয়ে আমার ফুফুর জায়গা আক্কাছ আলীর নামে নামজারী করে। পরে ওই নামজারীর মাধ্যমে আক্কাছ আলী তার দুই মেয়ে শান্তনা আক্তার ও মোছাঃ তুলনা আক্তার এর নামে ওই জমি রেজিষ্ট্রি  দলিল করে দেয়।
বাদী মোঃ ওয়াহিদ হোসেন মস্তু ভূয়া ওয়ারিশান সনদ, নামজারী ও দলিল বাািতলের দাবী জানান।

প্রথম পাতা