থাইল্যান্ডে জীবন্ত কবর নাকি সাগরে হত্যা ॥ পাচারকারীর কবলে পড়ে ইকরামের এক যুবক ৫ মাস যাবত নিখোঁজ
তারিখ: ৬-অক্টোবর-২০১৫
এম এ ওয়াহেদ ॥

আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের কবলে পড়ে বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম গ্রামের শরীফ উদ্দিন নামে এক যুবক পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ রয়েছে। স্বজনদের আশংকা হয়তো তাকে থাইল্যান্ডের গহীন জঙ্গলে জীবন্ত কবর দেয়া হয়েছে না হয় সাগরে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ শরীফের পিতা বাদি হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিবরণে প্রকাশ, গত প্রায় সাড়ে ৫ মাস পূর্বে ওই গ্রামের জজ মিয়ার পুত্র শরীফ উদ্দিনকে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে বিনা পয়সায় বিদেশে নেয়ার প্রলোভন দিয়ে অপহরণ করে একদল আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্র। এরপর পাচারকারীরা শরীফ উদ্দিনকে প্রথমে প্রাণে হত্যা করার ভয়ভীতি দেখিয়ে ও পরে থাইল্যান্ডের কারাগার থেকে মুক্ত করার কথা বলে দুই দফায় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা আদায় করে পিতা জজ মিয়ার কাছ থেকে। কিন্তু উল্লেখিত পরিমান টাকা পরিশোধ করার পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও পাচারকারীরা নিখোঁজ শরীফ উদ্দিনের সন্ধান দেয়নি। বরং টাকা নেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করছে। এ অবস্থায় উপয়ান্তর না দেখে শরীফ উদ্দিনের পিতা জজ মিয়া বাদি হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় একই উপজেলার পৈলারকান্দি ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের ইসমাইল মিয়ার পুত্র সোহেল মিয়া, মরম আলীর পুত্র ফারুক আমিন, হাজী ছমর উদ্দিনের পুত্র ইসমাইল মিয়া ও মুতি মিয়ার পুত্র ফারুক মিয়াকে আসামী করা হয়েছে। মামলার বাদি জজ মিয়ার আশংকা উল্লেখিত মানব পাচারকারীরা শরীফ উদ্দিনকে হয়তো থাইল্যান্ডের গহীন জঙ্গলে জীবন্ত কবর দিয়েছে নতুবা সাগরে ফেলে হত্যা করেছে। এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, অভিযুক্ত ফারুক আমিন আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য। সে শুধু শরীফ উদ্দিনকে নয়, ইতিপূর্বে এলাকার বিভিন্ন মানুষকে পাচার করেছে এবং নির্যাতনের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা