৮ টাকার ইনজেকশন ১০০ টাকা! ॥ সদর হাসপাতালে সামনে জীবন রক্ষাকারী ঔষধ নিয়ে গলাকাটা ব্যবসা ॥ ২ ফার্মেসীকে জরিমানা
তারিখ: ১৪-জানুয়ারী-২০২০
স্টাফ রিপোর্টার ॥

হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের সামনে জীবন রক্ষাকারী ঔষধ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গলাকাটা ব্যবসা করছে কতিপয় অসাধু ফার্মেসী মালিক। এসব ফার্মেসী থেকে ঔষধ কিনে প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছেন গ্রাম-গঞ্জ থেকে আসা সহজ সরল সাধারণ মানুষ। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীদের মধ্যে বিরাজ করছিল চাপা ক্ষোভ। সম্প্রতি জুয়েল সরকার নামে এক ক্রেতা এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বেশকিছুদিন ধরেই উল্লেখিত এলাকার একাধিক ফার্মেসী মালিক অতিরিক্ত মূল্যে ঔষধ বিক্রি করছেন। এরমধ্যে ‘ল্যাসিক্স’ (২০ এম.জি) নামক একটি ইনজেকশনের দাম রাখা হয় ৫০ থেকে ১০০ টাকা। অথচ জীবনরক্ষাকারী এ ইনজেকশনটির বিক্রয় মূল্য মাত্র ৮ টাকা ২০ পয়সা। কারণ জিজ্ঞেস করলে ফার্মেসীর মালিকরা জানান, ‘বাজারে ইনজেকশনটি সরবরাহ কম, তাই বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে’।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে  সোমবার দুপুরে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় অন্বেষা ফার্মেসীর পক্ষে রনেশ কুমার দাস অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করলে প্রতিষ্ঠানটিকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং অভিযোগকারী জুয়েল সরকারকে জরিমানার ২৫ শতাংশ (৩ হাজার টাকা) পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ আমিরুল ইসলাম মাসুদ।

এদিকে, একই সময়ে মোঃ মকসুদ আলী নামে আরেক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘পার্শ¦বর্তী আল আমিন ফার্মেসীতেও একই ঔষুধের মূল্য তার কাছ থেকে রাখা হয়েছে ৬০ টাকা’। এ সময় আমিরুল ইসলাম মাসুদ তাকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলেন। পরে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই ফার্মেসীকেও ১০ টাকা জরিমানা করা হয়।

এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘কোন ধরণের অজুহাত দিয়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে ঔষধ বিক্রয় করা যাবেনা। ভবিষ্যতে কোন ফার্মেসী অতিরিক্ত দামে ঔষধ বিক্রয় করলে তার বিরুদ্ধে জরিমানাসহ লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।

প্রথম পাতা