তেঘরিয়ায় নিখোঁজের তিনদিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার ॥ ফানি ভিডিও করতে মোবাইল নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি ইসমাইল
তারিখ: ১৪-জানুয়ারী-২০২০
মোঃ তৌহিদ মিয়া ॥

সদর উপজেলার উত্তর তেঘরিয়া থেকে নিখোঁজের তিনদিন পর খোয়াই নদী থেকে ইসমাইল হোসেন (১২) নামে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বেলা দেড়টার দিকে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার চরহামুয়া এলাকা থেকে সদর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

নিহত ইসমাইল সদর উপজেলার উত্তর তেঘরিয়া গ্রামের দুবাই প্রবাসী ফারুক মিয়ার ছেলে ও তেঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র।

নিহত শিশুর মা জানান- কয়েকদিন আগে ইসমাইল হোসেনকে ১৫ হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল ফোন কিনে দেয়া হয়। গত শুক্রবার বিকেলে সে ইউটিউবে ছাড়ার জন্য ফানি ভিডিও করতে মোবাইল নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। রাত হয়ে গেলেও সে বাড়ি ফিরে আসেনি। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে ওইদিন রাতেই নিখোঁজ ছাত্রের মা হবিগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এদিকে, গতকাল সোমবার সকালে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার চরহামুয়া এলাকায় একটি লাশ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ও স্কুলছাত্রের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ সনাক্ত করে। সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে।

নিহত শিশুর মায়ের অভিযোগ- একই গ্রামের কদর আলীর ছেলে সাইম মিয়া (১৫) শুক্রবার বিকেলে ইসমাইলকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই ইসমাইল নিখোঁজ হয়। তার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাইম মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী বলেন- ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় সন্ধেহজনভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।’

তিনি বলেন- ‘লাশের শরিরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া তার হাত বাঁধা ছিল। সুতরাং ধারণা করা হচ্ছে নিঃস্বন্ধে এটি হত্যাকাণ্ড।

প্রথম পাতা