বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু
তারিখ: ২৭-সেপ্টেম্বর-২০২১
স্টাফ রিপোর্টার \

 সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে আত্মীয়-স্বজনকে গৃহসহ অনুদান দেয়ার কারণে বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করছেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার। রোববার সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত সরজমিন তদন্ত করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান। তবে তদন্তের ফলাফল সম্পর্কে মিডিয়ার কাছে এখনই কিছু বলতে চাননি তদন্ত কর্মকর্তা। সূত্রে জানা গেছে, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তাকে স্বীয় পদ হতে বরখাস্থ করা হতে পারে। এর আগে গত ১৮ আগস্ট সিলেট বিভাগীয় কমিশনার অফিসের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালকের দেয়া এক

চিঠির মাধ্যমে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। চিঠির অনুলিপি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসারকেও দেয়া হয়। গত ১৮ আগস্ট সিলেট বিভাগীয় কমিশনার অফিসের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মো. ফজলুল কবীর স্বাক্ষরিত সৈয়দ খলিলুর রহমানের কাছে প্রেরিত পত্রে বলা হয়, বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে তার আত্মীয় স্বজনকে সুবিধা প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে গত ২০ মে একটি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ এর ১৩ ধারা অনুযায়ী তাকে স্বীয় পদ হতে অপসারণের লক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ সদস্য ও মহিলা সদস্যদের (অপসারণ, অনাস্থা ও পদ শূন্যতা) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী তদন্ত শুরু হবে। এরকম পরিস্থিতিতে বর্ণিত অভিযোগের বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য থাকলে তা চিঠি পাওয়ার ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে দালিলিক প্রমাণাদি সংযুক্ত করে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। এদিকে সরকারি অনুদান নিজের স্বজনদের নামে বরাদ্দ ছাড়াও বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান সহ অন্যান্য জাতীয় অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদে না থাকার কারণে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান আগে থেকেই বিতর্কের মুখে পড়েন। যা বিভিন্ন সময় স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যম সহ অনলাইন পোর্টালে বিস্তারিত প্রকাশিত হয়। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ব্যাপক লেখালেখি হয় উপজেলা চেয়ারম্যানের বিতর্কিত কর্মকান্ড নিয়ে।