টি-টুয়েন্টি স্কোয়াডে ডাক পেলেন হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান জাকের আলী অনিক
তারিখ: ২৩-মার্চ-২০২৩
স্টাফ রিপোর্টার \

 প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেটে (জাতীয় দল) টি-টুয়েন্টি স্কোয়াডে ডাক পেলেন হবিগেঞ্জর কৃতি সন্তান জাকের আলী অনিক। শুধু জাকের আলী অনিক ই নয়, স্কোয়াডে ডাকা হয়েছে আরেক নতুন মুখ লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। মূলত বিপিএলের
পারফরম্যান্স বিচারে সুযোগ পেয়েছেন এই দুই ক্রিকেটার। এছাড়াও দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটলীগ ও বাংলাদেশ এ দলেও গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত পারফরম্যান্স করে আসছেন উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান জাকের আলী অনিক।
ক্রিকেটার জাকের আলী অনিকের জন্ম ১৯৯৮ সালে হবিগঞ্জ পৌরসভার ঝিলপাড় এলাকায়। পিতা সাবেক সেনা সদস্য শওকত আলী ও মাতা সাবেক মেম্বার আলম চাঁন। অনিকের বড় ভাই শাকের আলী অপু জেলার নিয়মিত ক্রিকেট খেলোয়াড়। তার সাথে মাঠে আসা যাওয়া করেই প্রথম ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন অনিক। বড় ভাই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান। তাই বড় ভাইয়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করেন তিনিও। ভাই যখন বাসায় অনুশীলন করতেন তখন তার কিপিং গøাবস হাতে দিয়ে উকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে পড়তেন অনিক। অপুও বুঝতে পাড়েন তার প্রতিভা আছে। তাই জেলা ভিত্তিক অনুর্ধ্ব ১৪ দলের বাঁচাইয়ে অংশগ্রহন করান। অনুর্ধ্ব ১৪ হবিগঞ্জ দলের স্কোয়াডে জায়গা করে নেন। হবিগঞ্জ জালাল স্টেডিয়াম থেকে ক্রিকেটর যাত্রা এভাবেই শুরু হয় অনিকের।     
এর মধ্যে হবিগঞ্জ শহরে অবস্থিত রামচরণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিএসসি পাস করে হবিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ভাল ক্রিকেটার হওয়ার প্রবল ইচ্ছা তার মনে। তাই ২০১০ সালের বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিও জন্য ঢাকা গিয়ে বাঁচাইয়ে অংশগ্রহন করেন। সেই বাঁচাইয়ে হাজারো ছাত্রের মধ্যে সেরা উইকেট কিপার হয়ে বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান তিনি। বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়ার পরই মূল ধারার ক্রিকেটে যুক্ত হন। এরপর বিকেএসপির বয়সভিত্তিক যত ক্রিকেট আছে সবগুলোই খেলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে বিসিবির অধীনে অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৯ সবগুলো টুর্নামেন্টেই খেলেন তিনি। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলোতে বাংলাদেশের হয়ে বিভিন্ন দেশে গিয়ে ক্রিকেট খেলে সুনাম অর্জন করেন।  আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ-২০১৬ খেলেছেন বাংলাদেশের হয়ে। ২০১৬ সালে অর্ধ শতক হাকিয়ে প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। ২০১৭ সালে প্রাইম ধলেশ^রের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে অভিষেক হয় তার। ২০১৮ সালে ডিপিএল তিনি গাজী গ্রæপের হয়ে কয়েকটি অর্ধশতক করেন। ২০১৯ সালে বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের সিলেট সিক্সার্সে হয়ে মাঠ মাতান অনিক। এর পর থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে থাকাতে হয়নি।
ব্যক্তিগত জীবনে ৩ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট অনিক। তার বড় বোন নূরজাহান বিভা ছাড়া সবাই জেলা ভিত্তিক ক্রিকেট খেলেছেন। মেজ বোন শাকিলা ববি হবিগঞ্জ জেলা মহিলা দলের অধিনায়ক ছিলেন টানা চার বছর। বর্তমানে তিনি সিলেটে সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত আছেন। ছোট বোন সাবিনা তিশাও জেলা মহিলা দলের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। বড় ভাই শাকের আলী অপু জেলা দল ও স্থানীয় ক্রিকেট ক্লাবে এখনোও ক্রিকেট খেলেন। অনিকের স্ত্রীও বিকেএসপির একজন সুনামধন্য শুটার।