রোটারী ক্লাব অব উত্তরার অনুদানে শোকরগোজার পাঠশালার শিক্ষার্থীদের বহুমুখী সেবাদান
তারিখ: ২৩-মার্চ-২০২৩
প্রেস বিজ্ঞপ্তি \

 মানুষ মানুষের জন্য অজানা কিছু মানুষ  তাদের সেবা দিয়ে  ভালবাসায় সিক্ত করল  গুংগিয়াজুরী হাওরের সুবিধা বঞ্চিতদের  জীবন। রোটারী  ক্লাব উত্তরার  রোটারিয়ানরা এগিয়ে এলেন শোকরগোজার সেবালয়ের সেবাকে এগিয়ে নিতে। শোকরগোজার'  একটি 'সেবাদানকারূী প্রতিষ্ঠান।  স্রস্টার সন্তুষ্টির জন্য ৩৬ বিঘা  জায়গার ওপর  গড়ে ওঠছে শোকরগোজার  দাতব্য সেবালয়।  ২০২১ সালে বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয় কতৃক নিবন্ধন প্রাপ্ত এই দাতব্য সেবালয়টি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম সেবাদান কারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলতে  কাজ করছেন  সংশ্লিষ্টরা। দূর্গম হাওরে  এ-পর্যন্ত  শত প্রতিক‚লতায়  শোকরগোজার দাতব্য সেবালয় তার সেবাখাত গুলো চলমান রেখেছে। ২০১৯ সালে সার্বাজনীন প্রার্থনালন স্থাপন। ২০২০ হতে ইফতার আয়োজন ও  নিয়মিত বছরের দুটি ঈদ নামাজের  জামাতের আয়োজন ও সকলকে  সেমাই মুখ আয়োজন। ঈদুল আজহায়  কোরবানি সম্পন্ন  ও দরিদ্রদের মাঝে কোরবানির গোশত বন্টন।  আনোয়ারপুর গ্রামে শোকরগোজার মসজিদ ও মক্তব  নির্মান করে সেখানে প্রতি ওয়াক্তে  নামাজ ও  মক্তবে শিশুদের কোরআন শিক্ষা দানের ব্যবস্থাপনা। হাওরেরদরিদ্র  নিরক্ষর শিশুদের  শিক্ষা দানে বিনামূল্যে শিক্ষা দানসহ সকল শিক্ষা উপকরণ  প্রদানে দান। এছাড়াও  দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের  পরিবারের কাছে প্রতিমাসে ১০ তারিখে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান। ইতিমধ্যে এই সকল কার্যক্রমের সাথে ২০২৩ সালের জানুয়ারী মাসে চালু হয়েছে হবিগঞ্জ মাস্টার্স কোয়াটার ‘সালাম ভিলা’র  ৪র্থ তলায়  স্থায়ী কার্যালয়ে 'শোকরগোজার নূর মদিনা নূরানি হেফাজখানা'। যেখানে এতিমদের বিনামূল্যে খাওয়াদাওয়াসহ  কোরআন ও সুন্নাহর জ্ঞান দেয়া হয় অভিজ্ঞ  মহিলা হাফেজার মাধ্যমে। দ্বীন ও দুনিয়ার কল্যাণ অর্জনে সকল কাজ মানুষের সেবার মাধ্যমেই হতে পারে, এ বিশ্বাসকে আরো এগিয়ে নিতে  শোকরগোজারের এ সকল সেবামুলক কাজে সহায়তা দিয়ে চাকাস্হ রোটারী ক্লাব অব উত্তরার রোটারিয়ানা  শোকরগোজার পাঠশালার শিক্ষার্থীদের  স্কুল ড্রেস, শ্রেণী কক্ষের আসবাবপত্র ও মেধাবী  শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের উপকরণ সহায়তাসহ দুঃস্থদের মাঝে  টিন প্রদান করেন। রোটারী ক্লাব অব উত্তরার  একলক্ষ টাকা অনুদান  প্রাপ্তির বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির দাতা  আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে বলতে চাই,  শোকরগোজার সেবালয়ের সেবাখাতকে আরো প্রস্তুত করতে আমরা কাজ করছি। আমরা উত্তরা রোটারী  ক্লাবের সকল রোটারিয়ানদের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা শোকরগোজারের সেবাদানে আমাদের পাশে সবসময় পাশে  থাকবেন এ-কামনা করি’। বুধবারের  রোটারী ক্লাবের সেবাদানে স্হানীয় লোকজন,  সেবা গ্রহিতা ও শোকরগোজার  পাঠাশালার কমিটির সভাপতি ও এর সদস্যবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন। শোকরগোজার পাঠাশালার শিক্ষার্থী জ্যোতি বলেন, আমরা খুব খুশি,  আমাদের শ্রেণীকক্ষ এখন আগের চেয়ে অনেক-অনেক  সুন্দর হয়েছে !
শিক্ষার্থীর এক মা সেলিনা বলেন, 'আমরা আগে সন্তানকে মাছ ধরতে সকাল সকাল বিলে ফাটাইতাম,  শোকরগোজার আমরারে  অভ্যস্ত করছে  ভোরে ওইট্যা বাচ্চাকাচ্চারে মক্তব ও  ইস্কুলে ফ্যাটাইতে।  আজকে বাচ্চারে পড়াশোনায় পাঠাইয়া আমি পুরস্কার ফ্যাইয়া খুব খুশি!   শোকরগোজার আর রোটারী ক্লাব উত্তরার  হক্কলরে আল্লাহ ভালা রাখ্যুইন'।
রোটারী  ক্বাব অব উত্তরা ও শোকরগোজার দাতব্য সেবালয়  যৌথ সেবাদানে   এ-সব উন্নমন কর্ম চলমান রয়েছে।  আশা করা যায় এই সহায়তা ঈদ পরবতী সময়ে শেষ করা সম্ভব হবে।
বুধবার  রোটারী ক্লাব অব উত্তরা ও শোকরগোজার দাতব্য সেবালয়ের সকল আয়োজনে হারুন অর রশিদ, দীলিপ চন্দ দাশ, ফয়সল আহমেদ, পলাশ মিয়া, কাসন মিয়া,  মসজিদ ইমাম ইমাম উদ্দিন ও শিক্ষক রণজিৎসহ অভিভাবকবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন।  আয়োজনটি সফল হওয়ায় মুঠোফোনে রোটারী ক্লাব অব উত্তরার  পক্ষ হতে সভাপতি: রোটারিয়ান মোহাম্মদ শামছুল করিম রুকু, সাধারন সম্পাদক  রোটারিয়ান মনোয়ারা বেগম মুন্নি শোকরগোজার দাতব্য সেবালয় কে ধন্যবাদান্তে সবসময়  সার্বিক সহায়তা  দিতে  আন্তরিক ইচ্ছা প্রকাশ করেন।